সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের বিজ্ঞান অনুষদের ছাদ থেকে ফেলা হচ্ছে ইট-বালি ও জঞ্জাল। এসব ধুলাবালির স্তূপ জমা হয়েছে ভবনের নিচেই।
ময়লা আবর্জনার কারণে বিভিন্ন বিভাগের সামনে লাগানো ফুলগাছ ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য সাজিয়ে রাখা গাছগুলোর অবস্থাও নাজেহাল। নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে এগুলোও যেন দুলছে বাঁচা-মরার সন্ধিক্ষণে।
ক্যাম্পাসজুড়ে বায়ুদূষণ ও মশা-মাছির উৎপীড়ন অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। নষ্ট হচ্ছে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য। কিন্তু এসবে যেন কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি না থাকা এবং পরিছন্নতাকর্মীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে ক্যাম্পাসের এহেন অপরিছন্ন অবস্থা।
এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ইব্রাহিম খান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ছোট একটি ক্যাম্পাসকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। দায়িত্বরত পরিছন্নতাকর্মীরা যদি তাদের কাজ ঠিকমত করেন তাহলে অনেক সুন্দর একটি ক্যাম্পাস আমরা পেতাম। আমি আশা রাখি, এখনো ইচ্ছে করলে সেটা করা যাবে।
ক্যাম্পাসের অপরিচ্ছন্নতার বিষয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী রফিক-উন নবী বাংলানিউজকে বলেন, ময়লা আবর্জনা যত দ্রুত সম্ভব অপসারণ করে ক্যাম্পাসের একটি সুন্দর পরিবেশ করে দেয়া উচিত। আর তার সাথে বিভাগের পাশের গাছগুলোর যত্ন নেয়া দরকা। যেখানে গাছ মরে গেছে সেখানে পুনরায় গাছ লাগানো অনিবার্য বলে আমি মনে করছি।
এ বিষয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মল্লিক আকরাম হোসেন বলেন, এই বিষয়ে বলতে আসলে কষ্ট লাগে। আমি অনেকবার নিজের টাকা দিয়ে বিভাগের সামনে থেকে পুরাতন, ভাঙা চোয়ার টেবিল ও ময়লা আবর্জনা অপসারণ করেছি। কিন্তু তারপরও পরিষ্কার থাকছে না। অযত্নে মরে গেছে আমাদের বিভাগের সামনের গাছগুলো। আমি রেজিস্ট্রার মহোদয়ের কাছে চিঠি লিখেছি এ বিষয়ে অনেক আগেই। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। এখানে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করার কারণে বিভাগের সামনে লোহার র্যালিংগুলোও ভেঙে পড়েছ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া বলেন, এ বিষয়ে আমি সঠিক জানি না। রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বলে বিষয়টা দেখছি।
তবে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামানকে বারবার মোবাইল ফোনে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৮
কেডি/জেএম