ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রাথমিক বৃত্তির ফল প্রকাশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৮
প্রাথমিক বৃত্তির ফল প্রকাশ

ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর বৃত্তির ফলাফল প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এক সংবাদ সম্মেলনে বৃত্তির ফলাফলের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।

এবছর মেধা কোটায় (ট্যালেন্টপুলে) বৃত্তি পাবে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী, যা আগে ছিলো ২২ হাজার।

আর সাধারণ কোটায় বৃত্তি পাবে ৪৯ হাজার ৫০০ জন, যা আগে ছিলো ৩৩ হাজার।

ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩০০ টাকা করে এবং সাধারণ কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ২২৫ টাকা করে পাবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে www.dpe.gov.bd ফলাফল পাওয়া যাবে।

মন্ত্রী জানান, ঝরেপড়া রোধ, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের মেধার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি দেওয়া।
 
আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার জন্য আলাদা পরীক্ষা নেওয়া হতো। ২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে উপজেলা/ওয়ার্ড ভিত্তিক বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
 
প্রাথমিক সমাপনীতে আগে ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হতো। ২০১৫ সালে তা বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৫০০ করা হয়েছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমাণও বাড়ানো হয়। আগে ট্যালেন্টপুলে ২০০ টাকা এবং সাধারণ কোটায় মাসিক ১৫০ টাকা দেওয়া হতো।
 
উত্তীর্ণদের মধ্যে সাধারণ ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি দেওয়া হয়। এসব শিক্ষার্থী ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি সুবিধা ভোগ করে।

দেশের সাত হাজার ২৬৭টি এবং বিদেশের ১২টি কেন্দ্রে গত বছরের ১৯ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৭৫ জন অংশ নেয়। এরমধ্যে প্রাথমিক সমাপনীতে ২৮ লাখ চার হাজার ৫০৯ জন এবং ইবতেদায়িতে দুই লাখ ৯১ হাজার ৫৬৬ জন অংশ নেয়। ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর সমাপনীর ফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের হার ৯৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, আর ইবতেদায়িতে পাসের হার ৯২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৬২ হাজার ৬০৯ জন, ইবতেদায়িতে পাঁচ হাজার ২৩ জন শিক্ষার্থী।
 
সমাপনী পরীক্ষায় উপজেলায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যার অনুপাতে সমান সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি বণ্টন করা হয়। সাধারণ কোটায় সাত হাজার ৯৭০টি ইউনিয়ন/পৌরসভার ওয়ার্ডে প্রতিটিতে ৬টি (৩ জন ছাত্র ও ৩ জন ছাত্রী) সাধারণ বৃত্তি হিসেবে ৪৭ হাজার ৮২০টি সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। অবশিষ্ট এক হাজার ৬৮০টি বৃত্তি থেকে প্রতিটি উপজেলা/থানা থেকে আরো ৩টি (১ জন ছাত্র, ১ জন ছাত্রী ও ১ জন উপজেলা মেধার ভিত্তিতে) করে ৫০৯টি উপজেলা/থানায় মোট এক হাজার ৫২৭টি সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৫৩টি সাধারণ বৃত্তি থেকে প্রতিটি জেলায় আরো ২টি (১ জন ছাত্র ও ১ জন ছাত্রী) করে ৬৪ জেলায় আরো ১২৮টি বৃত্তি বণ্টন করা হয়েছে।  
 
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ্জ জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল ছাড়াও মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।