তিনি বলেন, যখনই দেশে কিছু একটা হয়, সংঘাত শুরু হয়, সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বাহিনী আর ছাত্রলীগ নেমে পড়ে। ছাত্রলীগের যারা তারাও কিন্তু ছাত্র, তারা পড়ালেখা করবে।
বুধবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনে সারাদেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
ড. জাফর ইকবাল বলেন, ৫৬ শতাশং কোটা। যেকোনো ব্যবস্থায় ৫৬ শতাংশ কোটা অনেক বেশি। একসময় হয়তো প্রয়োজন ছিল। এখন হয়তো সে প্রয়োজনটা নেই। কাজেই এটাকে সংস্কার করা খুবই যৌক্তিক দাবি। কোটা কত ভাগ হবে সেটা সবাই মিলে বসে ঠিক করা উচিত।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের উপর আমার বিশ্বাস আছে। বাংলাদেশের সমস্ত আন্দোলন তরুণ প্রজন্ম করেছে। ভাষা আন্দোলন, একাত্তর, গণজাগরণ মঞ্চ বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্দোলন তরুণ প্রজন্মই করেছে। কাজেই তাদের উপর আমার বিশ্বাস আছে। তরুণদের কাউকে না কাউকে বিশ্বাস করতে হবে। কাজেই সরকার যেন সে জায়গা তৈরি করে।
তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সুযোগ দিতে চাই, নারীদের সুযোগ দিতে চাই, জেলা কোটায় দিতে চাই, আদিবাসীদেরও সুযোগ দিতে চাই। প্রত্যেক কোটার বিপরীতে একেকটি যুক্তি হয়তো আছে। তবে ৫৬ শতাংশ কোটা অনেক বেশি।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা। তারা সবচেয়ে বেশি কোটা নিচ্ছে। অনেক ছেলেমেয়ে ভাবছে যে, আমি হয়তো চাকরি পেতাম। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য আমরা চাকরি পাচ্ছি না। কাজেই কোটা একটা জায়গায় নিয়ে আসুক। যাতে কেউ বলতে না পারে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য আমরা চাকরি পাচ্ছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
এএ