চৈত্রের তাপদাহে তাদের নানা স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। ব্যস্ততম শিববাড়ি মোড়ের আশেপাশের সব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও সরকারি বিএল কলেজের শিক্ষার্থীরা তিনদিন ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাস ও মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে অবস্থান কর্মসূচি ও সড়ক অবরোধ করে আসছেন। অন্যান্য দিনে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও বুধবারের অবস্থান কর্মসূচিতে তেমন পুলিশ দেখা যাচ্ছে না।
আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ থেকে নামিয়ে ১০ শতাংশে আনতে হবে।
এ ব্যাপারে একটি সমাধানে না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে পরীক্ষা, ভাইভা এবং ক্লাস বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে বিক্ষোভ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংস্কারের দাবি ছাড়াও এসময় তারা খুবি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে পুলিশের বাধা, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং তাদের রাজাকার বলে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর গালির প্রতিবাদ জানান। এছাড়া আন্দোলন করতে গিয়ে যারা আটক হয়েছেন তাদের মুক্তি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৮
এসআই