বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে বাজেট উপস্থাপন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন। গত ৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স কমিটি ও ৭ জুন সিন্ডিকেট সভায় প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন সূত্র জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা এবং সাধারণ কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যয়ভার হিসেবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭৪১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৬৬৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত বাজেটে আকার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা। সে হিসেবে এ বছর বাজেটের আকার বেড়েছে ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
এছাড়া প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের আকার বেড়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৬৬৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত আকারে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেটের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছর তা ছিল ৪২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ছিল ৩১৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
এবারো বাজেটের বড় একটি অংশ ব্যয় হবে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা, পেনশনসহ বিভিন্ন খাতে। এ বছর ৪৩২ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট বাজেটের ৫৮ দশমিক ৪২ শতাংশ। আর পেনশনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। শিক্ষকদের বেতনের জন্য ১৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমশিন (ইউজিসি) এ বছর বাজেট নির্দেশনায় বলেছে, সরকারি অর্থ ব্যয়ে সবক্ষেত্রে স্বচ্ছতা অবলম্বন করতে হবে। মূল বরাদ্দের বাইরে বিশেষ প্রয়োজন ও ইউজিসির পূর্বানুমোদন ছাড়া কোনো জনবল নিয়োগ করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের আয় বাজেটে নিজস্ব আয়ের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রির আয়ের ৪০ ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলে জমা দিতে হবে।
বাজেটে আয়ের উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুদান ও নিজস্ব আয়। এর মধ্যে ইউজিসি দেবে ৬২৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। নিজস্ব আয় বাবদ ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে এ বছর ঘাটতি বাজেট দাঁড়িয়েছে ৪১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কবি মুহাম্মদ সামাদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট ফিন্যান্স কমিটি ও সিন্ডিকেটের সভায় অনুমোদন হয়েছে। আগামী সিনেট অধিবেশনে এটি পাশ হবে। এবারের বাজেটে গবেষণা খাতেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৮
এসকেবি/আরএ