রোববার (৮ জুলাই) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত পদযাত্রা করেন শিক্ষকরা। ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকবৃন্দের’ ব্যানারে এ পদযাত্রা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০ শিক্ষক।
পদযাত্রা পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য দেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসনিম সিরাজ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, ইউল্যাবের ভিজিটিং অধ্যাপক আজফার হোসেন প্রমুখ।
অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মতো যৌক্তিক আন্দোলনে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অবিশ্বাস্যও বটে। কারণ পাকিস্তান ও ব্রিটিশ শাসনামলে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেনি।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, কোটা সংস্কারের মতো ন্যায়সংগত আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা চার ধরনের অন্যায়ের শিকার হয়েছে। তাদের হাতুড়িপেটা করা হয়েছে, মেয়েদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, গুরুতর আহত করা হয়েছে, এটা প্রথম অন্যায়। আর দ্বিতীয় অন্যায় হলো তাদের চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্ছিত করা হয়েছে। তৃতীয়ত, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে ও চর্তুথত, তাদের বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দেওয়া হয়েছে।
এসময় তিনি হাতুড়িপেটার শাস্তি যাবজ্জীবন রাখার দাবি তোলেন।
মানববন্ধনে চার দফা দাবি তুলে ধরেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন। দাবিগুলো হলো- কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলাকারীদের বিচার, আন্দোলনকারীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হামলায় আহতদের চিকিৎসাসেবা, নারী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নকারীদের বিচার ও দ্রুত কোটা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
এসকেবি/আরআর