রোববার (০৮ জুলাই) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলে বের করে।
মিছিলটি অনুষদ ভবন হয়ে ব্যবসা প্রশাসন ভবনের দিকে যায়। এসময় শিক্ষার্থীরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের দিকে গেলে সঞ্জয় কুমার পন্থী ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে বাধা দেয়। এসময় তারা বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে। এসব ঘটনার ছবি তুলতে গেলে উপস্থিত সাংবাদিকদেরও বাধা দেয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বিক্ষোভকালে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান আমাদের বাধা দেন। এসময় প্রক্টর বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি দিয়ে মারতে উদ্ধত হন। এক পর্যায়ে আমাদের বহিরাগত আখ্যা দিয়ে দুই শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র কেড়ে নেয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় প্রশাসন ভবনে অস্থিতিশীলতা পরিস্থিতি সৃষ্টি করছিল। বিষয়টি জেনে প্রক্টরিয়াল বডি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিক্ষার্থীরা অন্য কোনো পক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে কী না বিষয়টি যাচাই-বাছায়ের জন্য দুই জন শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্র নেয়া হয়েছে।
এরআগে, শনিবার (০৭ জুলাই) একই দাবিতে ফিন্যান্স বিভাগসহ অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা সঞ্জয় কুমারের শাস্তির দাবিতে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করে।
উল্লখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক সঞ্জয় কুমার সরকার নিজ বিভাগের এক ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। এর ফলে ৫ জুলাই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে ওই ছাত্রী। বর্তমানে সে পরিবারের হেফাজতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৮
এনটি