সোমবার (৯ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন- আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাইমা হক, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, তারিকুলের বাবা সেনাবাহিনীর সাবেক সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অধ্যাপক নাইমা হক বলেন, ‘তারিকুল এই বিভাগের শিক্ষার্থী। তাই শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য দাবির সঙ্গে একমত হয়ে আমরা তাদের সঙ্গে সংহতি জানাচ্ছি। ’
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, তারিকুলকে একটি ন্যায্য দাবির আন্দোলন থেকে ছাত্রলীগ মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এরপরে একটি পুরোনো মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। যেটা পুরোপুরি অসঙ্গতিপূর্ণ। এ রকম একটা ঘটনায় আমরা বিবেকবান মানুষ হিসেবে চুপ করে থাকতে পারি না। তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি।
বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, তারেক এই বিভাগের শিক্ষার্থী। অন্যায়ভাবে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। তার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা পরীক্ষায় অংশ নেবো না।
এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড বহন করেন। সেগুলো হলো- তারেকের নিঃশর্ত মুক্তি চাই, মিথ্যা মামলা মিথ্যা মামলা আর কত আর কত? নো ক্লাস নো এক্সাম উইথআউট তারেক, মিথ্যা মামলার নামে প্রহসন বন্ধ কর।
সোমবার বিভাগের প্রথম বর্ষ থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত ফার্স্ট টার্ম পরীক্ষা থাকলেও শিক্ষার্থী বর্জন করায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র তারিকুলকে গত ২ জুলাই শহীদ মিনারে বিক্ষোভ মিছিল থেকে ছাত্রলীগ তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুর মামলায় কেরানীগঞ্জ থানায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৮
এসকেবি/আরবি/