সোমবার (৩০ জুলাই) বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক নোটিশে এ বহিষ্কারের কথা জানা যায়। এতে জানানো হয়, গত ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের খাইরুন নিসা, উম্মে হাবিবা তানজিলা; ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মিনহাজুল আবেদিন, ফাতিমা, সামিরা মাহজাবিন; ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল্লাহ-হীল-বাকী, অদিতি সরকার।
এরমধ্যে খাইরুন নিসা ও মিনহাজুল আবেদীনকে এক বছর ও বাকিদের ছয় মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেমিস্টার পদ্ধতির শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদেরও এক বছর লস হবে।
বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার সময় হলে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ কে এম রেজাউল করিম কয়েকজন শিক্ষর্থীকে শাস্তি দেন। এনিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে একজন শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। অন্য শিক্ষার্থীরা সেখানে নিজেদের ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেন। একজন শিক্ষার্থী ওই শিক্ষককে ‘টাক’ বলে মন্তব্য করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বিভাগের একাডেমিক কমিটি তদন্ত করেন।
বহিষ্কারের বিষয়ে বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. মাহফুজা খানম বলেন, এটা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রক্টরিয়ার বডির সিদ্ধান্ত। এবিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন শিক্ষককে নিয়ে অশোভন মন্তব্য করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তাদের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
এসকেবি/ওএইচ/