বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন সংলগ্ন করিডোরে এ কর্মসূচি পালন করেন অফিসার পরিষদের সদস্যরা।
অফিসার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটুটসের সংশ্লিষ্ট ধারানুযায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীদের কারো চাকরি অপরিহার্য মনে করলে কর্তৃপক্ষ তাদের চাকরির বয়সসীমা ২+২+১ বছর করে ৬৫ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবেন।
এছাড়াও পর্যায়োন্নয়ন কার্যকর, তৃতীয় পর্যায়োন্নয়ন প্রথা চালু, অ্যাডিশনাল রেজিস্ট্রার বা তার সমমান পদে অধিষ্ঠিত কর্মকর্তাদের উচ্চতর গ্রেডের স্কেল দেওয়া, শাখা প্রধানদের স্কেল সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন, টেকনিক্যাল ডিগ্রিধারীদের একটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দেওয়া, বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর ১২ নম্বর ধারার পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে।
দাবি না মেনে নিলে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন বলে জানান মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বাংলানিউজকে বলেন, অবসরোত্তর চাকরির বয়সসীমা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিন্ডিকেট সভায় কর্মকর্তাদের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা থাকায় সেটি সম্পূর্ণভাবে পাশ করেননি সিন্ডিকেট সদস্যরা।
তবে বিষয়টি নিয়ে অফিসার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে আমরা বসবো। যৌক্তিক ও বৈধ দাবি মেনে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সমস্যা নেই বলেও জানান উপাচার্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
জিপি