জানা গেছে, এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল অন্য বছরের তুলনায় আংশিক নিন্মগামী ছিল। কিন্তু সে হিসাবটি জবিতে প্রতিফলিত হয়নি বরং অন্যান্য বছরে যেখানে ইউনিট ভেদে আবেদনের যোগ্যতা চাওয়া হয় জিপিএ-৭ এবং ৭ দশমিক ৫০।
এছাড়া চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই জবিতে শুরু হচ্ছে নতুন নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা। যে নিয়মের আগে থেকেই কিছুই আঁচ করতে পারেননি শিক্ষার্থীরা। এমনকি বিশেষায়িত কোনো কোচিং সেন্টারেও জবির প্রশ্নপত্র বা সিলেবাস ধরে কোচিং ক্লাসের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কিছুটা ধোঁয়াশা থেকেই অনেকে আবেদন থেকে বিরত থেকেছেন বলে মনে করেন অনেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দফতর সূত্রে জানা গেছে, এবার তিনটি ইউনিট ও একটি বিশেষায়িত শাখার অধীনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এর মধ্যে ‘ইউনিট-১’ এ রাখা হয়েছে বিজ্ঞান অনুষদ যা আগে ‘এ’ ইউনিট নামে পরিচিত ছিল। এই ইউনিটে ৮২৫টি আসনের বিপরীতে প্রাথমিকভাবে আবেদন করেছিলেন ৪৬ হাজার ৪১৮ শিক্ষার্থী। পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন ৩১ হাজার ১৩৫ শিক্ষার্থী। চূড়ান্তভাবে আবেদন করেন ২৬ হাজার ৬২ শিক্ষার্থী। গত বছর ‘এ’ ইউনিটের আবেদন করেছিলেন ৫৯ হাজার ৪১০ শিক্ষার্থী।
অপরদিকে, ‘ইউনিট-২’ এ রাখা হয়েছে মানবিক শাখা বা কলা অনুষদ যা আগে ‘বি’ ইউনিট নামে পরিচিত ছিল। এই ইউনিটের ১ হাজার ২৭০টি আসনের বিপরীতে প্রাথমিকভাবে আবেদন করেছিলেন ১৬ হাজার ৭১৫ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন ১৬ হাজার ৭১৫ শিক্ষার্থী। তবে চূড়ান্তভাবে আবেদন করেন ১৪ হাজার ৪৩৮ শিক্ষার্থী। গত বছর এই ইউনিটে গত বছর আবেদন করে ১৮ হাজার ৭৫৬ শিক্ষার্থী।
এছাড়া ‘ইউনিট-৩’ এ রাখা হয়েছে বাণিজ্য বা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, যেটি আগে ইউনিট ‘সি’ নামে পরিচিত ছিল। এই ইউনিটের ৫২০টি আসনের বিপরীতে এবার আবেদন করেছেন ১২ হাজার ৮১৩ শিক্ষার্থী। যার মধ্যে প্রাথমিকভাবে ১২ হাজার ৮১৩ জনকে সিলেক্ট করা হয়। তবে চূড়ান্তভাবে আবেদন পাওয়া যায় ১১ হাজার ২০ শিক্ষার্থীর।
এদিকে, একমাত্র বিশেষায়িত শাখার অধিনে চারটি বিভাগ (সংগীত, চারুকলা, নাট্যকলা এবং ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে ২১৯, ৫৩১, ১৬৮ ও ৩৯৮ জন) গত বছরের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৫০ জন। এই বিশেষায়িত ১৫০টি আসনে এবারই প্রথম শুধু ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবে। কোনো লিখিত পরীক্ষা থাকছেনা এতে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ‘মেধাবীদের সুযোগ দিতেই এবার লিখিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থীয় পাসের হারও কম ছিল। এ কারণে গতবারের চেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এছাড়া এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার গ্রেড পয়েন্ট বেশি চাওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করতে পারেনি।
লিখিত পদ্ধতির কোনো প্রভাব পড়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, লিখিত পদ্ধতির সঙ্গে ভর্তি আবেদনের কোনো সম্পর্ক নেই। গ্রেড পয়েন্ট বেশি চাওয়ার কারণে অনেকেই আবেদন করতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮
কেডি/এসআরএস