সোমবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১২টায় ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের পাদদেশে অনশন শুরু করেন তিনি।
পরবর্তীতে দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রক্টর মাহবুবর রহমান উপস্থিত হয়ে তার দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।
‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের পাদদেশে অবস্থানকালে পোস্টার লাগিয়ে বিভিন্ন দাবি জানায় লিংকন। পোস্টারে লেখা ছিল- ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবন দিতে আসিনি, জীবনকে নতুনভাবে গড়তে এসেছি’, ‘বন্ধুর লাশের ভার আর সইতে পারছি না’, ‘উঁচু ভবন নয়, উঁচু মানের সেবা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে। ’
লিংকন বলেন, ‘একটি পরিবার অনেক কষ্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায়, অনেক আশা নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব তার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। কিন্তু এখানে সে ধরনের সুবিধা অপ্রতুল। গত ৬ মাসে চারটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে একজন করে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগের দাবিতে তার এ অবস্থান বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে মেডিকেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও একজন মনোবিজ্ঞানী প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে। দ্রুত সময়ের ভেতর এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
জিপি