বুধবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৯টায় উপাচার্যের বাসভবনে নির্বাচনী বোর্ড বসার কথা ছিলো। কিন্তু এর ঠিক আধ ঘণ্টা আগে ভবনের ফটকে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বরও একই কারণ দেখিয়ে নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এদিকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করায় চাকরিপ্রত্যাশী ও বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার দফতর ও ইতিহাস বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিভাগে বর্তমানে শিক্ষকদের ১২টি পদ শূন্য রয়েছে। চলতি বছরের ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং জাতীয় দৈনিকে শূন্য পদের বিপরীতে চার জন সহকারী অধ্যাপক/প্রভাষক এবং একজন প্রভাষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ৫টি পদের বিপরীতে মোট ৮৫ জন আবেদন করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার সব প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচনী পরীক্ষা অংশ নিতে আসেন চাকরি প্রত্যাশীরা। সকালে নির্ধারিত সময়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে তারা দেখেন সেখানে বোর্ড পরীক্ষা স্থগিত করেছেন বলে নোটিশ টানানো হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘১৪/১১/২০১৮ তারিখের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের নির্বাচনী বোর্ড অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হল। ’
নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ও ইতিহাস বিভাগের সভাপতি ড. মর্তুজা খালেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমাকে আজ সকালে ফোনে জানিয়েছেন, অনিবার্য কারণবশত এ বোর্ড স্থগিত করা হয়েছে। ’
পরপর দু’বার নিয়োগ বোর্ড স্থগিতের ব্যাপারে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
নিয়োগ বোর্ডের অপর সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া বলেন, ‘নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
জিপি