বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এস এম আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানায়, ‘তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে এ ভর্তি পরীক্ষা বহাল রাখা হয়।
ফলাফল কিভাবে প্রস্তুত করা হবে এমন এক প্রশ্নের জবাবে রেজিস্টার এস এম আব্দুল লতিফ বলেন, ‘যেহেতু পরীক্ষা চলাকালে কক্ষগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্ত এসেছে, তাই দু’টি পদ্ধতিতে ফলাফল তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। একজন শিক্ষার্থীর ফলাফল প্রশ্নপত্রের ক্রম এবং ওএমআর এর ক্রম অনুযায়ী ফলাফল প্রস্তুত করতে বলা হয়। এই দু’টি উপায়ের মধ্যে যেকোনো একটি উপায়ে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর ধরেই একজন শিক্ষার্থীর ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। ’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বাংলানিউজকে বলেন, ‘নতুন করে পরীক্ষা নিতে গেলে শিক্ষার্থীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরাই হয়তো পুনরায় পরীক্ষা দিতে পারবে না। তাই শিক্ষার্থীদের প্রতি সুবিচারের কথাটা মাথায় রেখেই তদন্ত কমিটির তদন্তের আলোকে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ’
গত ৫ নভেম্বর ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ওএমআর অমিলের অভিযোগ উঠে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিলেও কক্ষ পরিদর্শকরা ভিন্ন ভিন্ন সমাধান দেন। বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা শেষে অনুষদীয় কমিটির মিটিং বসে। মিটিংয়ে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরে এ নিয়ে গত ৬ নভেম্বর প্রশাসনের সঙ্গে অনুষদীয় কমিটির মিটিং বসে। মিটিংয়ে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার জোড় দাবি জানান অনুষদীয় কমিটির সদস্যরা। তবে প্রশাসন ওএমআর ও প্রশ্নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সঙ্গে জড়িত এবং এর করনীয় অনুসন্ধান করতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পাশাপাশি ওই ইউনিটের সমন্বয়কারীদের অব্যাহতি দিয়ে তিন সদস্যের নতুন সমন্বয়কারী কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
জিপি