এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও প্রতিকার না পেয়ে স্কুলটির ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী ও কয়েকজন অভিভাবক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
রোববার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে মহানগরীর একটি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রহিদুল ইসলাম ভাদু।
অভিযোগ জানিয়ে জেলা প্রশাসক, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অভিযোগের পর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে স্কুলটির প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। কিন্তু এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থী বা অভিভাবকরা টাকা ফেরত পাননি।
লিখিত বক্তব্যে রহিদুল ইসলাম ভাদু বলেন, স্কুলটির পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মানবিক বিভাগের জন্য ২ হাজার ১৫০, বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ২ হাজার ২৫০ টাকা আদায় করা হয়েছে।
এছাড়াও কিছু কিছু এসএসসি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩ হাজারেরও বেশি টাকা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া গত বছরের পরীক্ষায় এক বিষয়ে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৮০০ এবং একাধিক বিষয়ের জন্য দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন ভাদু।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার প্রামাণিক ও প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী সরদার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় করা হয়নি। কত টাকা আদায় করা হয়েছে তা লিখিতভাবে শিক্ষা বোর্ডকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
এসএস/এমজেএফ