সোমবার (২৬ নভেম্বর) রাতে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ওই পাঁচ জনকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ।
আজীবন বহিষ্কৃত হয়েছেন লোকপ্রশাসন বিভাগের ইয়া রাফিউ শিকদার, মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. সোহেল রানা। দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত হয়েছেন বাংলা বিভাগের মো. সজীব কাজি ও আসিফ আহমেদ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বাংলানিউজকে বলেন, ‘তিনজনকে আজীবন এবং দুইজনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার ও ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তারা শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে না এবং হলে অবস্থান করতে পারবে না। তবে তাদেরকে ক্যাম্পাসে পুনরায় দেখা গেলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে ব্যবস্থ্য নেওয়া হবে। ’
গত রোববার (২৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনে ছিনতাইকালে পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বহিষ্কারাদেশের ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রশাসনের এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে আমরা সন্তুষ্ট। প্রশাসনকে যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সহযোগিতা করতে ছাত্রলীগ সবসময় প্রস্তুত আছে। এ জাতীয় কোনো ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের যে কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এইচএ/