ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

গোপনে রাবি ছেড়েছেন ৫ নেপালি শিক্ষার্থী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
গোপনে রাবি ছেড়েছেন ৫ নেপালি শিক্ষার্থী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক (ফাইল ফটো)

রাজশাহী: গোপনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছেড়ে চলে গেছেন পাঁচ নেপালি শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর আব্দুল কাইয়ুম ইন্টারন্যাশনাল ডরমিটরি ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে তারা চলে গেছেন।

বিষয়টি জানলে তাদের (শিক্ষার্থী) বিভাগ ও বন্ধুদের কাছে খোঁজ করে না পেয়ে ডরমিটরির ওয়ার্ডেন অধ্যাপক আশাদুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

চলে যাওয়া শিক্ষার্থী হলেন- ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিভাগের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী উজ্জ্বল মাহাতো, সুজান পারাজুলি, মিলন কুমার মোকতার, বিনোদ লামিছানে ও কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী লিলা জুং রায়া মাঝি। তারা ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বরাবর দেওয়া অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, কোনো অনুমতি ছাড়াই পাঁচ নেপালী শিক্ষার্থী গত ৯ জানুয়ারি ডরমিটরি ত্যাগ করেছেন।

জানতে চাইলে ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বলেন, ‘চলে যাওয়া শিক্ষার্থীরা প্রথম থেকেই অনিয়মিত ছিল। বর্তমান শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পড়ালেখার প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় তারা চলে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, ‘কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলে যাওয়ার বিষয়টি আমাকে লিখিত জানানো হয়েছে। বিষয়টি একাডেমিক শাখা দেখে। এ বিষয়ে দায়িত্বরত উপ-রেজিস্ট্রারকে জানানো হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি চিন্তা-ভাবনা করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে'।

বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এএইচএম আসলাম হোসেন বলেন, ‘তারা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে না এ বিষয়ে আমাকে কিছুই জানায়নি। এছাড়া তারা ভর্তিও বাতিল করেনি। তারা যদি আবার ফিরে আসে, তাহলে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবে'।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।