এদিকে ডাকসু নির্বাচনের জন্য নিয়োগকৃত প্রধান রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক এসএম মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থীদের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রাধ্যক্ষদের সভায় প্রার্থীদের বয়স নিয়ে আলোচনা হয়।
তবে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে অনার্সের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত উপাচার্যের বিশেষ বিবেচনায় এক বছর ও আচার্যের বিবেচনায় এক বছর ধরে সর্বমোট আট বছর সময় নিয়ে অনার্স শেষ করতে পারবে। মাস্টার্সের ক্ষেত্রে নিয়মিত দুই বছর, উপাচার্য ও আচার্যের বিবেচনায় নিলে চার বছরে সম্পন্ন হয়।
তবে এটির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করে বলতে পারেন নি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বয়স নির্ধারণের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। সিন্ডিকেটের সভার পর সব ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে।
ডাকসু গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী যারা হলে অবস্থানরত বা হলের সঙ্গে সংযুক্ত এবং যারা একাউন্ট অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মমাফিক বার্ষিক চাঁদা এবং অন্যান্য বকেয়া পরিশোধ করেছেন তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদের সদস্য হবেন। একটি হলের সব শিক্ষার্থী যারা হলে আবাসিকভাবে অবস্থানরত বা সংযুক্তিপ্রাপ্ত, যারা তাদের সংসদ ফি ও ক্রীড়া চাঁদা পরিশোধ করেছেন তারা হল সংসদের সদস্য হবেন।
তবে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না হওয়ায় ডাকসুর গঠনতন্ত্রের ধারায় সংশোধনের দাবি ওঠে। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে ছাত্র সংগঠনগুলোর লিখিত আকারে সুপারিশ গ্রহণ করে। সেখানে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন দীর্ঘ দিন নির্বাচন না হওয়ায় বয়সের সীমা বাড়ানোর কথা বলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভোটার প্রার্থীতার ক্ষেত্রে নিয়মিত ছাত্রের কথা বলেছেন। কিন্তু গঠনতন্ত্রে নিয়মিত ছাত্রের কোনো সংজ্ঞা দিয়ে নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে নির্বাচন নিয়ে গঠিত আচরণ বিধি ও গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটি তাদের মতামত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে জমা দিয়েছে। এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, সবকিছুই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
এসকেবি/আরএ