বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, মাইক্রোবায়োলোজি বিভাগের ৪৫ ব্যাচের ১৬ ছাত্রী ও একই বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের এক ছাত্রীর আনা অশ্লীলতা ও নিপীড়নের ঘটনায় অভিযোগ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একই বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
৪৫ ব্যাচের মো. নাঈম-ই-আক্তার, ইজাজ আহমেদ, মো. মেহেদী হাসান ও মো. ইকবাল হোসেনকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার ও ৫ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই ব্যাচের মো. সজিব হোসাইন, মো. আল-আমিন শৈশব, মো. আবু নাঈম ও জি এম তারিকুল ইসলামকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার ও ৫ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মো. শাহরিয়ার খানকে তিন মাসের জন্য বহিষ্কার ও ৫ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ড এবং নাহিদুল ইসলাম ও মো. ওমর ফারুককে তিন মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের ১২ জন শিক্ষার্থী একটি ফেসবুক গ্রুপ খোলে। সেই গ্রুপে একই বিভাগের শিক্ষিকা ও বিভাগের ছাত্রীদের আপত্তিকর ছবি তুলে আপলোড দেয়। একইসঙ্গে গোপনে তোলা এসব ছবির সঙ্গে অশালীন মন্তব্য করে তারা। পরবর্তীতে গ্রুপটির কথা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানাজানি হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করে ১৬ ছাত্রী গত ২৬ নভেম্বর অভিযোগ দেন বিভাগীয় সভাপতির কাছে।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই ঘটনার তদন্তের জন্য বিভাগের অধ্যাপক মো. হাসিবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। পরে তদন্ত রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৩০৪তম সভায় তাদের এ শাস্তি দেওয়া হয় বলে জানান রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এএ