রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ক্যাম্পাস ছুটির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) ক্যাম্পাস ছুটির পর সন্ধ্যায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পক্ষের কর্মী তুহিনকে মারধর করেন সভাপতির (তরিকুল দাদা গ্রুপ) কর্মীরা।
এর ধারাবাহিকতায় সকালে ক্যাম্পাসের বাসগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দু’গ্রুপের কর্মীরাই নিজেদের পূর্ব নির্ধারিত স্থানে জমায়েত হওয়া শুরু করে। এরপর দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও রাস্তার পথচারীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। দু’পক্ষের ইট-পাটকেল নিক্ষেপে বেশ কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগের উভয়পক্ষের কর্মী ও শিক্ষকসহ প্রায় ১৫ জন আহত হন।
সংঘর্ষকালে নিজেদের পরিচয় আড়াল করতে প্রায় বেশিরভাগ নেতাকর্মী হেলমেট পরিধান করে অংশ নেন। এসময় প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ ক্যাম্পাসে থাকলেও সংঘর্ষ থামাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেননি। ফলে সংঘর্ষের কিছু সময় পর ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে এরপরেও বেশ কয়েকবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ছাত্রলীগ। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ক্যাম্পাস ছুটি হলে পরিবেশ শান্ত হয়।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ক্যাম্পাসে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং দলীয় শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে নেতাদের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ঘাটতি দেখা দেওয়ায় ছাত্রলীগের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
একই সঙ্গে এ ঘটনা অধিকতর তদন্তের স্বার্থে কেন্দ্রীয় নেতা সোহান খান, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আল নাহিয়ান জয়, ইয়াদ আল রিয়াদকে নিয়ে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংসদ।
সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
কেডি/এনটি