ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

অশুভ শক্তির প্রয়াসে ববিতে আন্দোলন, দাবি উপাচার্যের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
অশুভ শক্তির প্রয়াসে ববিতে আন্দোলন, দাবি উপাচার্যের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ফাইল ফটো)

বরিশাল: অদৃশ্য ও অশুভ শক্তির প্রয়াসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন বলে দাবি করেছেন উপাচার্য (ভিসি) এসএম ইমামুল হক।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের পাঠানো উপাচার্য ড. এস এম ইমামুল হক স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ বিষয় জাননো হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক (চ. দা.) মো. ফয়সাল মাহমুদ রুমি বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লিখিত বক্তব্যে উপাচার্য পরবর্তী কর্মদিবসে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্লাসে চলে যাওয়ার কথাও বলেছেন।

লিখিত বক্তব্যে ভিসি দাবি করেন, গত ১৮ এপ্রিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ব্যানারে এ হাতেগোনা ও চিহ্নিত কিছু শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী মানববন্ধন করেছেন। যেখানে তারা আমার (উপাচার্য) পদত্যাগ দাবি করেন। ইতোপূর্বে চিহ্নিত কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী একই দাবি করে আসছিলো।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ইচ্ছাতেই রাষ্ট্রপতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমাকে (প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হক) নিয়োগ দিয়েছেন। যার মেয়াদ আগামী ২৭ মে শেষ হবে। বিগত ৩ বছর ১০ মাসের অধিকাল ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে অপেক্ষাকৃত নবীন এ বিদ্যাপিঠটিকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ববি উপাচার্য এসএম ইমামুল হকের লিখিত বক্তব্যলিখিত বার্তায় ভিসি বলেন, কিন্তু মেয়াদকালের শেষ সময়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থসিদ্ধির জন্য চিহ্নত গোষ্ঠী আমার পদত্যাগের দাবিতে প্রায় একমাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারগুলোতে তালা লাগিয়ে অবৈধভাবে কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। এ অহেতুক আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। তারা এক কল্পিত সন্ত্রাসের ভয়ে ভীত হয়ে এর প্রতিবাদ করে সাহস নিয়ে এগিয়ে আসছে না। এ অবস্থা থেকে আমাদের উত্তরণ অবশ্যম্ভাবী, অন্যথায় জাতির জনকের স্বপ্নের দক্ষিণ বাংলার এ বাতিঘর, যেটি প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে বাস্তবায়িত হয়েছে, তা অপূরণীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, যারা মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড করার উদ্যোগ নিয়েছিলো, তাদের উদ্দেশ্যেই আমি বক্তব্য রেখেছিলাম। সেই বক্তব্যে কেউ আহত হয়ে থাকলে তাদের উদ্দেশ্যে দুঃখ প্রকাশও করেছিলাম। কিন্তু বিষয়টি সেখানেই থেকে থাকেনি, কোনো এক অদৃশ্য ও অশুভ শক্তির প্রয়াসে এতদূর গড়িয়েছে। দুঃখ প্রকাশের পরও কেন এ আন্দোলন? কেন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাজীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে? এ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারী মিলিয়ে সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ৫ শতাংশের বেশি হবে না।  এরা কার স্বার্থ হাসিলে বাকি ৯৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ধ্বংস করার জন্য নেমেছে, এটা আমার প্রশ্ন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পরবর্তী কর্মদিবসে তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসো। তোমাদের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্লাসে যাও। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের হাতে তোমাদের শিক্ষাজীবন জিম্মি হয়ে থাকতে পারে না।

একইসঙ্গে তিনি বরিশালের বিদ্যোৎসাহী, শিক্ষানুরাগী মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্টজনসহ সবার প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি। কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থে দক্ষিণবঙ্গের আলোকবর্তিকা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।