শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেনে। ‘শ্রমিক আন্দোলনের একাল সেকাল’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি।
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আজকে বাংলাদেশে যে ব্যবস্থা বিরাজ করছে তার চেয়ে খারাপ অবস্থা আমাদের ইতিহাসে ছিল কিনা আমার জানা নেই। আজকে বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ নেই কিন্তু নিরব দুর্ভিক্ষ আছে। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। এমন নিরাপত্তাহীনতা শুধু আমরা একাত্তর সালে দেখেছিলাম যখন হানাদার বাহিনী গণহত্যা করেছিল।
তিনি বলেন, নিরাপত্তাহীনতার বড় নির্দশন হচ্ছে ধর্ষণ, মাদ্রসায় ছাত্রী ধর্ষিত হচ্ছে, বাসে কর্মজীবী নারী ধর্ষিত হচ্ছে। এটি কেবল ধর্ষণ নয়, গণধর্ষণ। গণধর্ষণের কথা আমরা অতীতে জানতাম এই পাকিস্তানি রাষ্ট্রের চরিত্র প্রথম উন্মোচিত হয়েছিল গণধর্ষণের মাধ্যমে। এসব অন্যায় রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। আমরা দেখেছি, নুসরাত জাহানের ঘটনার সঙ্গে পুলিশ জড়িত হয়ে পড়লো, আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রশাসন জড়িত হয়ে পড়লো এবং সবাই মিলে প্রমাণ করতে চাইলো যে নুসরাত আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরো বলেন, যারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করবে তারাই যদি দুর্নীতি করে, তাহলে রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা অবস্থা কি, তা সহজে অনুধাবন করা যাচ্ছে। এ ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে হবে। রাষ্ট্রের মালিক শ্রেণীর সঙ্গে শ্রমিক শ্রেণীর যে শোষণের সম্পর্ক তা ভেঙে দিতে হবে। তাহলে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। বিপ্লবের মাধ্যমে পুরনো রাষ্ট্রকে ভেঙে এমন রাষ্ট্র করবো, যে রাষ্ট্র মানবিক হবে, যেখানে নারী ধর্ষিত হবে না, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের নামে প্রতারণা করবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৯
এসকেবি/জেডএস