শনিবার (২৫ মে) সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত হয় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ের ২৫ নম্বরের ব্যবহারিক পরীক্ষা।
প্রভাষক জালাল উদ্দিন আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ের প্রভাষক।
শিক্ষার্থী ও সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজ অফিস সূত্রে জানা যায়, আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজ থেকে চলতি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ২৩৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ের ১০০ নম্বরের মধ্যে ২৫ নম্বর ব্যবহারিক পরীক্ষা। যার পুরোটা নির্ভর করে কলেজ শিক্ষকের হাতে। তিনি ইচ্ছা করলে ফেল করাতেও পারেন, আবার কাউকে শতভাগ নম্বরও দিতে পারেন।
এ সুযোগে কলেজটির তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ের প্রভাষক জালাল উদ্দিন ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও ভাল নম্বর দেওয়ার কথা বলে সব পরীক্ষার্থীর কাছে ৩০০ টাকা দাবি করে আদায় করেন। পরীক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে কলেজ পরিচালনা কমিটি জরুরি সভা করে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে তার মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ না করতে নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত প্রভাষক জালাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, শোকজ করলে তো জবাব দিতে হবে। শুধু ব্যবহারিক পরীক্ষায় নয়, কলেজে কোনো টাকা আদায় করলে তা অধ্যক্ষকে জানিয়ে করতে হয়। অধ্যক্ষের নির্দেশ ছাড়া টাকা আদায় সম্ভব নয়। প্রথমে যা আদায় হয়েছিল তার সব টাকায় অধ্যক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সুদান চন্দ্র বাংলানিউজকে বলেন, পরীক্ষা শুরুর আগে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় প্রভাষক জালাল উদ্দিনকে শোকজ করা হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব না পেলে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, কলেজ পরিচালনা কমিটি অভিযুক্ত প্রভাষকের মাধ্যমে পরীক্ষা নিতে নিষেধ করেছেন ঠিকই। তবে একা নন, তার সঙ্গে আরও ছয়জন শিক্ষক মিলে পরীক্ষা নিয়েছেন। যাতে ওই শিক্ষক টাকা নিতে না পারে সেজন্য অন্যান্য শিক্ষকেরা সজাগ ছিলেন।
সাপ্টিবাড়ি ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন সরকার বাংলানিউজকে বলেন, গণমাধ্যমে খবর দেখে জরুরি সভা করে অভিযুক্ত প্রভাষককে সাময়িক বরখাস্ত করে তার মাধ্যমে পরীক্ষা না নিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করলে পরবর্তী সভায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৯
এনটি