শনিবার (১৫ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়েছে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুচকা চত্বর, টান্সপোর্ট ইয়ার্ড, গবিসাস চত্বর, মিডিয়া কর্নার, হিটলারের ঝালমুড়ি আঙিনা, ওয়াইফাই কর্নাসহ পুরো ক্যাম্পাস।
বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী নতুন উদ্যমে আসন্ন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
একাধিক শিক্ষার্থী জানান, অনেক দিন পরে ক্লাসে ফিরে ভালো লাগছে। ক্যাম্পাসে যেন অনেকদিনের বিরতিতে অন্যরকম আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় যেন আপন প্রাণের ছন্দে ফিরেছে।
তারা আরও জানান, দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন বৈধ উপাচার্য আসছে। এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা জানান, শিক্ষার্থীরা আবার ক্লাসে ফিরেছে। ক্লাস বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিলো। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যরকম আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ইউজিসি অনুমোদিত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ ছাত্র পরিষদের ব্যানারে গত শনিবার (৬ এপ্রিল) থেকে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। এরপর দফায় দফায় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা বসে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসে তারা। এসময় উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত সব অগ্রগতি শিক্ষার্থীদের দেখানোর মাধ্যমে আশ্বস্ত করেন প্রশাসন। পরে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল সব কিছু পর্যবেক্ষণ শেষে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার ক্লাসে ফিরেছেন শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৯
ওএইচ/