সরকারি কর্মব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় ইউজিসির সঙ্গে দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ইউজিসি অডিটরিয়ামে কমিশন সদস্য অধ্যাপক ড. এম. শাহ্ নওয়াজ আলির সভাপতিত্বে এ চুক্তি সই হয়।
অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনের সচিব ড. মো. খালেদ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেজিস্ট্রাররা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ইউজিসির মূল দায়িত্ব উচ্চশিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করা। শিক্ষার মান ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে।
উচ্চশিক্ষার শিক্ষার মান বিশেষ একটা পর্যায়ে উন্নীত করতে তিনি সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং প্রসঙ্গে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, যখন আমাদের কিছু ছিল না তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ে ছিল। এখন ১০ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় আমাদের অবস্থান নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংকিংয়ে উপযুক্ত স্থান পেতে ইউজিসি কার্যকর উদ্যোগ নেবে।
শিক্ষক সম্প্রদায়কে জাতীর মেরুদণ্ড আখ্যায়িত করে কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, তাদের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক। দেশ ও জাতির প্রত্যাশা পূরণে এ শিক্ষক সম্প্রদায়কে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি রোধে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিকল্প নেই।
আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার ওপর তিনি গুরুত্বরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াসহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট ও ইউজিসির পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ