ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ কোটি ১৭ লাখ টাকার বাজেট পাস

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪১ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ কোটি ১৭ লাখ টাকার বাজেট পাস বাজেটের গ্রাফ সিট

কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪২ কোটি ১৭ লাখ টাকার বাজেট পাস হয়েছে। 

সোমবার (২৪ জুন) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের ২০৭ নম্বর কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ তম সিন্ডিকেটের সভায় এ বাজেট পাস হয়।  

বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া।

গত ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির (এফসি) সভায় প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন দেয়া হয়।
 
এ বাজেটে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪২ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৩৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত আকারে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাজেটের পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।  
এবারের বাজেটে আয়ের উৎস হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুদান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়। এর মধ্যে প্রারম্ভিক স্থিতি ১০ লাখ টাকা, ইউজিসি দেবে ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেয়া হবে ৭ কোটি টাকা। ঘাটতি বাজেট ৫৩ লাখ টাকা যা পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেটে ইউজিসির কাছে চাওয়া হবে।

এ বছর ২৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষকদের মূল বেতনের জন্য ৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, কর্মকর্তাদের জন্য ২ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ টাকা এবং কর্মচারীদের জন্য ২ কোটি ৬৫ লাখ ৩৭ টাকা। অর্থাৎ মূল বেতনের জন্য মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আর ভাতাদি (বাড়ি ভাড়া, শ্রান্তি বিনোদন, উৎসব, বাংলা নববর্ষ, চিকিৎসা, ধোলাই, দায়িত্ব, টিফিন, শিক্ষা সহায়ক, অন্যান্য) বাবদ মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
অন্যদিকে পণ্য ও সেবা সহায়তা খাতের (গাড়ির জ্বালানি খরচ, শিক্ষার্থীদের গাড়ি ভাড়া, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, টেলিফোন বিল, কর্মচারীদের ওভারটাইম, দিবস উদযাপন, স্টেশনারি ব্যয়, মুদ্রণ ব্যয়, প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয়, টিএডিএ, আপ্যায়ন, আনসারদের বেতন, সংবাদপত্র ও সাময়িকি, গবেষণা ব্যয়, প্রকাশনা ব্যয়, রাসায়নিক দ্রব্যাদি, বই ও সাময়িকি, খেলাধুলা ব্যয়, বিএনসিসি, আসবাবপত্র মেরামত, কম্পিউটার ও অফিস সরঞ্জাম মেরামত, আবাসিক ভবন ও হল মেরামত, বৈদ্যুতিক মেরামত ও সংরক্ষণ, মোটর যানবাহন মেরামত ইত্যাদি) বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এছাড়াও শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য আইকিউএসি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৬ লাখ টাকা এবং গবেষণা খাতে ১ কেটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণের জন্য ৬৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শুরু হয়ে বর্তমান চলমান আছে। প্রকল্পটি প্রথম থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত ৫৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয় হয় অবশিষ্ট ১১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এফসিএ এমপি-এর সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শে ১৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার মেগা উন্নয়ন প্রকল্প চলতি অর্থ বছর অনুমোদন লাভ করে। চলতি অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে ছাড় করা হয় ৭ কোটি টাকা যার কার্যক্রম চলমান। আগামী অর্থ বছরের জন্য ডিপিপি অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, ড্রয়িং, ডিজাইন, সুপারভিশন ৪টি একাডেমিক ভবন নির্মাণ (দশ তলা বিশিষ্ট), দ্বিতীয় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ (ছয় তলা বিশিষ্ট), ২টি ছাত্র হল এবং ২টি ছাত্রী হল নির্মাণ (দশ তলা বিশিষ্ট) কাজ শুরুর জন্য সর্বমোট ৪৬১১৩.০০ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরা আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী’র সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ তম সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত ছিলেন বহিঃসিন্ডিকেট সদস্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, কুমিল্লার চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবদুস ছালাম এবং আভ্যন্তরীণ সিন্ডিকেট সদস্যরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।