বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে এ বাজেট উপস্থাপন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন সংশোধিত ও প্রস্তাবিত বাজেটের সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন করেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে প্রাপ্য ৬৯৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে ৬৬ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। ফলে এবছর বাজেটে ৪৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ঘাটতি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অধিবেশনে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের ৭৬১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করা হয়।
বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এতে ২৫৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে যা মোট বাজেটের ৩১ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ভাতাদি বাবদ ১৯৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা যা মোট ব্যয়ের ২৪.১৭ শতাংশ। পণ্য ও সেবা বাবদ ১৭১ কোটি ৭৬ টাকা যা মোট ব্যয়ের ২১.১৯ শতাংশ। বিশেষ অনুদান খাতে ১০ কোটি ৫৯ লাক ৯৫ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ১.৩১ শতাংশ এবং অন্যান্য অনুদান খাতে ১৭৫ কোটি ৬৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ২১.৬৮ শতাংশ।
বাজেট বক্তৃতায় কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল উদ্দীন বলেন, সরকার থেকে যে অর্থ বরাদ্দ আমরা পাই, তা দিয়েই আমাদের চলতে হয়। আমাদের নিজস্ব আয় অতি সামান্য। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ব্যয় সরকার বহন করবে না ছাত্রী-ছাত্রীকে বহন করা উচিত তা নিয়ে সারা বিশ্বে বিতর্ক হচ্ছে। আমার ব্যক্তিগত অভিমত, আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশে প্রকৃত মেধা লালনের জন্য ব্যয়ের সিংহভাগ অব্যশ্যই সরকারকে বহন করা উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এসকেবি/এএ