বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে ছাত্র-প্রতিনিধির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডাকসু ভিপি।
বক্তব্য রাখার সময় কুয়েত মৈত্রী হলের ব্যালট বাক্স উদ্ধার, রোকেয়া হলের ঘটনাসহ নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে কথা বললে পরবর্তীতে পয়েন্ট অব অর্ডারে বিভিন্ন সিনেট সদস্যরা নুরের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান।
জবাবে নুর বলেন, আমিও আপনাদের মতো ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে মেনে নেব। কিন্তু যেসব পত্রিকা অনিয়ম নিয়ে রিপোর্ট করেছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিন। মামলা না দিলে ঢালাওভাবে কথা বলবেন না যে নির্বাচনে অনিয়ম হয়নি। অসংখ্য অনিয়ম হয়েছে। প্রমাণ রয়েছে। সুতরাং এতো সাফাই গাওয়ার দরকার নেই।
আবাসন সমস্যা নিয়ে নুর বলেন, যখন ফুলার রোডে ও রোকেয়া হলের পাশে শিক্ষকদের জন্য উঁচু-উঁচু ভবন তৈরি হয়, কর্মচারীদের জন্য দশতলা-বিশতলা ভবন তৈরি হয়, তখনই আমাদের পত্রিকার নিউজে দেখতে হয় শিক্ষার্থীরা এসএম হলের বারান্দায় কিংবা গণরুম নামক কারাগারে অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে পড়াশোনা করছে। প্রথম বর্ষ থেকেই মেধা ও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে হলে সিট বরাদ্দ দিতে হবে।
হলে অবস্থানকারীদের অনলাইন ডাটাবেজ করার কথা উল্লেখ করে নুরুল হক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি হলে কোন রুমে কোন শিক্ষার্থী থাকে; তার অনলাইন ডাটাবেজ থাকতে হবে এবং হলগুলো থেকে অছাত্র ও বহিরাগতদের অতিদ্রুত রেইড দিয়ে বের করতে হবে। শুধু বিজয় একাত্তর হল ছাড়া বাকি সব হল চালায় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। বিজয় একাত্তর হল ব্যতিত অন্যান্য প্রাধ্যক্ষ যারা আছেন, তারা যদি নিজেদের হল কন্ট্রোল করতে না পারে, তাহলে তাদের পদত্যাগ করার আহ্বান জানান তিনি। তার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সাবিতা রিজওয়ানা রহমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হচ্ছে উল্লেখ করে ডাকসু ভিপি বলেন, গত ২ এপ্রিল এসএম হলে আমরা হামলার শিকার হয়েছিলাম। সেই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে ১ মাস সময় বেঁধে দিলেও এখনো সেই বিচার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি যদি হামলার শিকার হয়ে বিচার না পায় তাহলে আর কে বিচার পাবে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে হামলার ঘটনার বিচার না হওয়ায় যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু হয়েছে তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
এসকেবি/ওএইচ/