মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শেরে বাংলা নগরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নিজ কার্যালয়ে এ আবেদন জানান বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
অর্থমন্ত্রীর কাছে করা আবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছায় মাদ্রাসা শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে, এ জন্য আমরা মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। বর্তমান সরকারের আমলে মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি, ইংরেজি, বাংলা, বিজ্ঞান, সমাজকল্যাণ, অর্থনীতি, পৌরনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানসহ অন্য বিষয়গুলো বাধ্যতামূলক করে মাদ্রাসা শিক্ষাকে স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছে। তারই আলোকে সিলেবাস, কারিকুলাম প্রণয়ন করে পাঠদান চলছে।
‘দুঃখের বিষয়, এখনো ১৯৯৫ সালে জারি এইচএসসি মানের শিক্ষকদের দিয়েই মাদ্রাসাগুলো পরিচালিত হচ্ছে। বিষয়টি অনুধাবন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে নতুন জনবল কাঠামোসহ এমপিও নীতিমালা প্রণয়ন করে, যা অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও অতিরিক্ত বাজেট না থাকায় বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। ’
এতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব (অর্থ বিভাগ) বরাবর চার বছরে পর্যায়ক্রমে নতুন পদে শিক্ষক নিয়োগের অর্থ বরাদ্দের পত্র দেওয়া হয়। আমরা মনে করি, এভাবে শিক্ষক নিয়োগ হলে মাদ্রাসা শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআইএস/একে