বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপাচার্যপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনের আসল রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
২০১৮ সালে প্রশাসনের কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থেকে অসহযোগীতামূলক আচরণ শুরু করেন। প্রশাসনিক ও উন্নয়ন কাজের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা ও বুধবারের (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রশাসন-আন্দোলনকারীদের বৈঠক বর্জন করে সমঝোতার পথ জটিল করেছেন অধ্যাপক আমির। এর আগে ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষে নিজের ভাগ্নেকে অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাহাড় রয়েছে। ’ তিনিই ফোনালাপ ষড়যন্ত্রের মূল হোতা বলে অভিযোগ তোলে সংগঠনটি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন উপাচার্যপন্থি এ শিক্ষক সংগঠনটি। তাদের দাবিগুলো হলো- উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেনের পদত্যাগ, ভাগ্নের ভর্তি কেলেঙ্কারির শাস্তি নিশ্চিত করা, ভর্তি সংক্রান্ত কাজ থেকে বিরত রাখা, অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরের বিরুদ্ধে ‘কালো’ পুস্তকে আনীত অভিযোগের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, ‘প্রশ্নপত্র জালিয়াতির অভিযোগটি তৎকালীন বিএনপিপন্থি উপাচার্য (অধ্যাপক) মুস্তাহিদুর রহমানের রাজনৈতিক এজেন্ডা ছিলো। এটি মিমাংসিত বিষয়। কিন্তু হটাৎ করে কেন এসময় এটি আলোচনায় আনা হলো তা চিন্তার বিষয়। বুধবার প্রশাসনপন্থি শিক্ষকদের একটা মিটিং হয়েছে। সেখানে তারা একটি উইকেট ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপাচার্যের যদি পদত্যাগ হয় তাহলে যেন আমি কোনো পদে আসীন হতে না পারি সেজন্য তারা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। ’
প্রশাসন-আন্দোলনকারীদের বৈঠক বর্জন করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আগেই রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি অবহিত করেছিলাম। আমার মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ক্ষেত্রে প্রশাসনের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। বুধবারের আলোচনা বর্জন করায় উপাচার্য আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। যেটি তার এখতিয়ারভূক্ত নয়। ’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, ‘বৈঠকে না আসলে আমি শোকজ করতেই পারি। এ শোকজ হচ্ছে তিনি কেনো বৈঠকে উপস্থিত থাকেন নি এ নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি তার কর্তব্য পালন না করলে আমি অবশ্যই জানতে চাইতে পারি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
ওএইচ/