শনিবার (২১ সেপ্টম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মো. বশির উদ্দিন জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আমরা তাদের বুঝিয়ে আন্দোলন থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।
গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. অসিত মল্লিক জানিয়েছেন, যারা আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ডাক্তার ও অ্যাম্বুলেস মোতায়েন রাখা হয়েছে। কোথাও কেউ আহত হওয়ার খবর পেলেই অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হচ্ছে। দুই জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ক্যাম্পাসের বাইরে মোতায়েন রাখা হয়েছে।
এর আগে ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ এনে পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল থেকে আমরন অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তারা এখনো আদেশের চিঠি পায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশের বিষয়টি শুনেছে। তাদের একমাত্র দাবি ভিসির পদত্যাগ। ভিসি পদত্যাগ করলেই আন্দোলন থেকে সরে যাবে তারা। না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নুরউদ্দিন আহমেদ ছুটি ও হল ত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিলেও ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
** বশেমুরবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
আরএ