শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাবি সাংবাদিকরা প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়ে সড়কে অবস্থান নেন।
এসময় সাংবাদিকরা বলেন, বশেমুরবিপ্রবি-তে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। কয়েকদিন আগে তুচ্ছ ঘটনায় সাংবাদিক জিনিয়াকেও বহিষ্কার করা হয়। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণে তার বিরুদ্ধে আড়াই কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে এই উপাচার্য স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যাচ্ছে। একজন শিক্ষকের আচরণ এমন হলে শিক্ষার্থীরা তার কাছ থেকে কী শিখবে?
এ সময় তারা উপাচার্যের দ্রুত পদত্যাগ দাবি করেন। অন্যথায় বৃহৎ আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন সাংবাদিকরা।
কর্মসূচির শুরুর দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই অবস্থিত মতিহার থানা পুলিশ কর্মসূচিতে বাঁধা দেয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এবিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, সাংবাদিকেরা বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল সড়ক অবরোধ করলে সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। তাই তাদের বলা হয়েছিল ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কর্মসূচি পালন করতে।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধের পর সাংবাদিকেরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি প্রধান ফটকের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
এসএইচ