রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দিনভর আন্দোলনের পর রাত দশটার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী তাকে অব্যাহতি দেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালেয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মনকে অন্তবর্তীকালীন প্রক্টরের দায়িত্ব দিয়ে একটি অফিস আদেশ দেওয়া হয়।
জানা যায়, শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) প্রক্টর পদে অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের যোগদানের পর তার অপসারণ দাবিতে আন্দোলনে নামে শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। পরে রোববার বেলা ১টা থেকে মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। দুপুর পৌনে ২টায় তারা বিশ্ববিদ্যালেয়ের প্রধান ফটকে তালা দেয়। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ছাত্রলীগের সঙ্গে আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালেয় প্রশাসন। আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালেয় প্রশাসন কয়েকদিনের সময় চান। তবে ছাত্রলীগ তা না মেনে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এসময় আন্দোলনকারীরা প্রশাসন ভবনের গেট তালা দিয়ে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
তারা সেখানে অবস্থান করে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের উদ্দেশে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালেয়ের কর্তাব্যক্তিরা একাধিকবার নিজেদের মধ্যে এবং ছাত্রলীগের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। পরে রাত সাড়ে দশটার দিকে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানকে অব্যাহতি দেন প্রশাসন। তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণকে দায়িত্ব দেন উপাচার্য। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি একই সঙ্গে প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
এসএইচ