এ কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্মিত সব অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং প্রকল্প এলাকার স্থানীয় যুবক ও যুবতীদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে নির্বাচিত মাদ্রাসাগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পের আয়োজনে মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দিন বলেন, নির্বাচিত মাদ্রাসাগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে ১ হাজার ৮০০ মাদ্রাসার নতুন ভবন তৈরি করা হবে। প্রত্যেক মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ করতে কমপক্ষে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে। ওইসব মাদ্রাসার এলাকার শিক্ষার্থী এবং আশপাশের বেকার যুবকরা এই ভবন নির্মাণের সময় প্রাকটিক্যাল দক্ষতা নিতে পারবেন এবং কারিগরি বোর্ড তাদেরকে সার্টিফিকেট দেবে। প্রত্যেক ভবণ নির্মাণের সময়ে কমপক্ষে ৫০ জন শ্রমিক তৈরি করা হবে। শুধুমাত্র এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৯০ হাজার দক্ষ শ্রমিক তৈরি করা হবে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের বর্ণিত সুদক্ষ ও কর্মঠ কর্মসূচি অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুদক্ষ ও কর্মঠ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে।
‘একটি উন্নয়ন প্রকল্পে রাজমিস্ত্রী, ইলেকট্রিক্যালসহ বিভিন্ন রকমের কারিগরি কার্যক্রম হয় এবং একটি প্রকল্প কমপক্ষে এক থেকে দেড় বছর চলে। কোনো শিক্ষার্থী যদি এক থেকে দেড় বছর প্রাকটিক্যাল দক্ষতা অর্জন করে তাহলে সে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হবে। একজন দক্ষ কর্মীকে কারিগরি বোর্ডের মাধ্যমে দুই দিনের প্রশিক্ষণ ও প্রাকটিক্যাল টেস্ট নেওয়া হবে এবং তাদেরকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। ’
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের প্রচুর দক্ষ শ্রমিক বিদেশে কাজ করে। কিন্তু তাদের কোনো সার্টিফিকেট না থাকায় তারা অন্য দেশের শ্রমিকদের চেয়ে কম বেতন পায়। সরকার এই বিষয়টি মাথায় রেখে সব দক্ষ শ্রমিকদের সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করবে, যুব সমাজকে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেওয়া হবে এবং কারিগরি বোর্ডের মাধ্যমে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিটি মাদ্রাসাকে দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি ভোকেশনাল সেন্টারে পরিণত করা হবে। এতে করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা বেকার থাকবে না।
আমাদের কোমলমতি শিশুদের আমরা অনিবন্ধিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না জানিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে সরকারের অনুমতি ছাড়া কেউ ব্যক্তি উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে পারবে না।
২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে বলেও জানান উপমন্ত্রী।
মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডের অতিরিক্ত সচিব মাশুক মিয়া ও জাকির হোসেন, কারিগরি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রওনক মাহমুদ, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মোরাদ মোল্ল্যা।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস