মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সমিতির সভাপতি রায়হানুল ইসলাম আবির এবং সাধারণ সম্পাদক মাহদী আল মুহতাসিম এক বিবৃতিতে এ সময় বেঁধে দেন।
নেতারা বলেন, সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসের অনুসারীরা।
তিনি ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তার উপর হামলা চালায়। নিজের পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে মারধর ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতির সামনেই এ হামলা চালান তার অনুসারীরা। একই ঘটনায় বিজনেস বাংলাদেশের নুরুল আফসার মুন্না ও প্রতিদিনের সংবাদের রাহাতুল ইসলাম রাফিও মারধরের শিকার হন।
নেতারা বলেন, মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উপরন্তু দায়সারাভাবে বিবৃতি দিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। অন্যথায় সাংবাদিক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার পরিবেশ রক্ষায় কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। ’
বিবৃতিতে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সংযত ও দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়ে সাংবাদিক নেতারা বলেন, আমরা সাংবাদিকতার উপযুক্ত পরিবেশ, তথ্যের অবাধ নিশ্চয়তা ও প্রকৃত সত্যের উন্মোচন চাই। সেটি নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের ওপর সংগঠিত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আহ্বান জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এসকেবি/এএ