ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পরিচালককে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ঢাবি প্রোভিসির বিরুদ্ধে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
পরিচালককে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ঢাবি প্রোভিসির বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ও লোগো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড অ্যান্ড রিসার্চ ইন সায়েন্সেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়াকে সভাকক্ষ থেকে দুর্ব্যবহার করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন দুর্ব্যবহারের শিকার শিক্ষক।

ঢাবি প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড অ্যান্ড রিসার্চ ইন সায়েন্সস-(কারস) এর ক্যাফে ও গেস্টরুম ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং সিঅ্যান্ডডি কমিটির সভা প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক চলাকালে গেস্টরুমের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ক্যাফের খাবারের মান পর্যবেক্ষণের জন্য গার্হস্থ্য অর্থনীতি থেকে পাস করা লোক নিয়োগের কথা উঠলে উপ-উপাচার্য হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে উঠেন এবং কারসের পরিচালক অধ্যাপক ড. গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়াকে পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য বলেন। একইসঙ্গে সভাকক্ষ থেকে বের করে দেন।

এই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ, ফার্মেসী অনুষদ, জীববিজ্ঞান অনুষদ, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সস অনুষদের ডিন।

বাংলানিউজের কাছে একজন ডিন নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগকারী শিক্ষক অধ্যাপক ড. গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এরকম ঘটনার সম্মুখীন হইনি আগে। আমি উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সামাদ। তিনি বলেছেন, বিষয়টি অসত্য। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, এরকম একটি ঘটনার বিষয়ে চিঠি পেয়েছি। পুরো বিষয়টি এখনও দেখিনি। দেখে তারপর বলতে পারবো।

এদিকে, ২০১৭ সালে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তৎকালীন পরিচালক অধ্যাপক তানিয়া রহমানের প্রতিও অশালীন ও মারমুখী আচরণ করেছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ। তিনি ওই শিক্ষিকার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন ভাষায় সম্বোধন করেন বলে জানা যায়। এই ঘটনায় বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমদের কাছে লিখিত অভিযোগপত্রও দিয়েছিলেন তানিয়া রহমান।

বাংলাদেশ সময় ১৯১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
এসকেবি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।