বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে স্কুলভবনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সামনে এ ঘোষণা দেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। বর্তমানে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এক হাজার ২৭৪ জন।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এতদিন বিদ্যালয়ে উন্নয়নের জন্য ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক সাড়ে ৩শ’ ও ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা করে নেওয়া হতো। এছাড়া ভর্তির জন্য সবার কাছ থেকে নেওয়া হতো ২১শ’ থেকে ২৫শ’ টাকা। দীর্ঘদিন ধরে অভিভাবকদের দাবি ছিল বেতন ও ভর্তি ফি কমানোর।
‘অভিভাবকরা আমাদের জানিয়েছেন, ইসদাইর ও আশপাশের এলাকার যেসব ছেলে-মেয়েরা এ প্রতিষ্ঠানে পড়ে, তারা বেশিরভাগই গরীব। অনেক অভিভাবকের একাধিক সন্তান থাকায় পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তাই স্কুলের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও সব সদস্যের সম্মতিতে বেতন ও ভর্তি ফি কমানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। ’
‘নতুন বেতন ও ভর্তি ফি অনুযায়ী এখন থেকে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির বেতন সাড়ে ৩শ’ টাকার বদলে ৬০ টাকা ও ৮ম থেকে ১০ম শ্রেণির বেতন সাড়ে ৪শ’ টাকার বদলে ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হলো। আর ভর্তি ফি ২১শ’ ও ২৫শ’ টাকার বদলে সবার জন্য করা হলো ৩০০ টাকা। ’
শিক্ষার্থীদের দেওয়া এই বেতন থেকে স্কুলের এমপিওভুক্তি না থাকা শিক্ষক, দারোয়ান ও বুয়াদের বেতন দেওয়া হবে বলে জানান স্কুল কমিটির সভাপতি।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই অভিভাবকদের বেতন ও ভর্তি ফি কমানোর দাবি ছিল। এখানে যারা পড়াশোনা করে বেশিরভাগই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এই পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতির সিদ্ধান্তে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
এমআরপি/এইচজে