ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শাবিপ্রবির শিক্ষক হয়েই থাকতে চাই: জাফর ইকবাল

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
শাবিপ্রবির শিক্ষক হয়েই থাকতে চাই: জাফর ইকবাল ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমিন হক। ছবি: বাংলানিউজ

শাবিপ্রবি: অবসরে অন্যকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান না করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষক হয়েই থাকতে চান বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বিজ্ঞান বিষয়ক সংগঠন ‘সাস্ট সায়েন্স অ্যারেনা’র আয়োজিত ‘সাস্টে ২৫ বছর’ শীর্ষক স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

এ সময় শাবিপ্রবিতে কাটানো ২৫ বছরের স্মৃতিচারণ করেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার সহধর্মিনী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক ।

স্মৃতিচারণে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, শাবিপ্রবিতে কাটানো ২৫ বছরের প্রতিটি মুহূর্ত আমি ভালোভাবে উপভোগ করেছি এবং এ ক্যাম্পাস থেকে একটা অপূর্ব স্মৃতি নিয়ে যাচ্ছি, পৃথিবীর খুব কম মানুষই নিয়ে যেতে পারে যা দিয়ে বাকি জীবন অনায়াসে চলে যাবে।

তার লেখা মুক্তিযুদ্ধের বই ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি রাশেদের চরিত্রকে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। কারণ বর্তমান প্রজন্ম ও পাঠক যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তারা যাতে জানতে পারে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষের অবস্থা কী ছিল? মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পাই, অসংখ্য স্বজন হারানোর বেদনা, দুঃখ, দুর্দশা, হাহাকার ইত্যাদি তখন এমন কোনো পরিবার ছিল না যার কেউ না কেউ মারা যায়নি। আমরা যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি তাই এ স্মৃতিগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য বইটি ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।

স্মৃতিচারণে ড. ইয়াসমিন হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের প্রথম হলের নামকরণ শহীদ জননী জাহানারা ইমাম হল রাখা হলেও তা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। আশা করি, একদিন ঠিকই এ নামে এ হলের নামকরণ করা হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়ম নীতি আছে তাতে শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পাচ্ছে না, শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসে আরও বেশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের স্বাধীনতায় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা যাবে না।

স্মৃতিচারণ শেষে এক উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে আয়োজন আয়োজন করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমিন হক।

বাংলাদেশ সময়: ০২১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।