সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জকসু নির্বাচন হয় না, আগামী বছরের শুরুর দিকেই এ নির্বাচন হবে।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় আমরা কমিটি থেকে প্রাপ্ত জকসুর খসড়া সংবিধান অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করবো। সিন্ডিকেটের অনুমোদনের পরেই এটি সবার জন্য উন্মুক্ত হবে। তবে সিন্ডিকেট সভায় এটি প্রয়োজনে সংশোধন করা যেতে পারে। ’
এর আগে ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ১ জুলাই জকসুর গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. সরকার আলী আক্কাসকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর কমিটি ৪৮ দিনের মাথায় তাদের পক্ষ থেকে আইন সংশোধন ও গঠনতন্ত্রের একটি খসড়া উপাচার্য বরাবর জমা দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক সরকার আলী আক্কাস বলেন, আমাদের উপর উস্থাপিত যে কাজ ছিল তা উপাচার্য বরাবর জমা দিয়েছি। প্রস্তাবনায় রয়েছে, নিয়মিত শিক্ষার্থী এবং ২৬ বছর বয়স বা তার চেয়ে কম বয়সের শিক্ষার্থীরা যেন নির্বাচনে প্রার্থিতা ও ভোটার হওয়ার যোগ্যতা। এর বেশি হলে সেক্ষেত্রে ভোটাধিকার না দেওয়া। প্রশাসন চাইলে এটা সংশোধন বা পরিমার্জন করতে পারে।
জানা যায়, সবশেষ ১৯৮৭ সালে কলেজ আমলের নির্বাচনে আলমগীর সিকদার লোটন ও জাহাঙ্গীর সিকদার জোটন নামে দুই ভাই ভিপি ও জিএস নির্বাচিত হন। এরপর জবিতে আর কোনো জকসু নির্বাচন হয়নি। যদিও বলা হয় থাকে ২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন তৈরির সময় এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আইন বা বিধি-বিধান ছিল না। তবে জকসুর জন্য সেই সময় থেকেই একটি রুম বরাদ্দ থাকলেও তা সেসময় থেকেই অব্যবহৃত ছিল। তবে সবশেষ ছাত্রলীগের কমিটি রুমটিকে তাদের দলীয় কাজে ব্যবহার করেছেন। তবে বর্তমানে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় রুমটি ফের তালাবদ্ধ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
কেডি/এএ