ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আচার্যের কাছে জাবি উপাচার্যের অপসারণ দাবি আন্দোলনকারীদের

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৯
আচার্যের কাছে জাবি উপাচার্যের অপসারণ দাবি আন্দোলনকারীদের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): উন্নয়ন প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির আচার্য ও রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) বিকেলে ফ্যাক্সের মাধ্যমে বঙ্গভবনে এ চিঠি পাঠানো হয়। বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয়।

তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীনগর’ ব্যানারের সমন্বনয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইনের সই করা একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বরাবরে বঙ্গভবনের ফ্যাক্সে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘প্রকল্পের শুরু থেকেই লুকোছাপা ও অস্বচ্ছতার খবর গণমাধ্যমে এলে আশঙ্কা ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। এমনকি অংশীজনদের পরামর্শ ছাড়াই প্রকল্পের মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। মহাপরিকল্পনা পুনর্বিন্যাসের দাবি জানালে তা একনেকে অনুমোদন হয়েছে বলে এড়িয়ে যান উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। ’ 

‘এছাড়া প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ নিয়ে শুরু থেকেই নানা বিতর্ক চলছে। সেসব বিতর্ককে পাত্তা দেননি উপাচার্য। সর্বশেষ প্রকল্পের টাকা ছাত্রলীগের মাঝে ভাগবাটোয়ারার বিষয়টি গণমাধ্যমে আসলে তার সুষ্ঠু বিচারসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে ১৩ সেপ্টেম্বর আলোচনায় বসে দুইটি দাবি মেনে নেন উপাচার্য। দুর্নীতির বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবির আলোচনার জন্য সময় নেন অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। পরে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার ফোনালাপের অডিও ফাঁস হয়। সেখানে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। ’

চিঠিতে আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্পের শুরু থেকেই বিতর্কিত কাজ করায় উপাচার্যের নৈতিক স্খলন ঘটেছে। তিনি (উপাচার্য) এ পদে বহাল থাকতে পারেন না। আমরা তাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি পদত্যাগ করেননি। তাই আমরা তাকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। ’

এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র আরিফুল ইসলাম অনিক বাংলানিউজকে বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ক্যাম্পাস ছুটি হওয়ায় লাগাতার আন্দোলন থেকে সরে আসতে হয়েছে। তবে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে ১০ অক্টোবর ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন, ১৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পদযাত্রা ও সমাবেশ, ১৬ অক্টোবর বিক্ষোভ মিছিল, ১৭ অক্টোবর সংহতি সমাবেশ এবং ১৯ অক্টোবর মশাল মিছিলের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।  

এছাড়া ছুটির পুরো সময়জুড়ে সংবাদচিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়েঅজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।