ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বুয়েটে আতঙ্কের নাম ঠক! ঠক! ঠক!

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
বুয়েটে আতঙ্কের নাম ঠক! ঠক! ঠক! বুয়েটের গেটে টাঙানো ব্যানার/ছবি: জিএম মুজিবুর

বুয়েট থেকে: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার দাবিতে উত্তাল দেশের সর্বোচ্চ এ বিদ্যাপীঠ। রংতুলি, ব্যানার, ফেস্টুন, গ্রাফিতি অংকনের মাধ্যমে ফাহাদ হত্যার খুনিদের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে তারা।

আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা র‌্যাগের ভয়াবহ নির্যাতনের চিত্র উঠে এসেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইন-অফলাইনে তাদের উপর নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।

 

হলগুলোতে বর্তমানে যে চিত্র চলছে আরেকটি ধারণা পাওয়া যায় প্রতিবাদ মিছিলে আনা একটা ব্যানারে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় লাগানো এ ব্যানারে দেখা যায়, যারা এক পাশে লেখা ১৯৭১!

ঠক! ঠক! ঠক!
কে?
স্যার, একটু বাইরে আসবেন?
কথা ছিল!
আরেক পাশে লেখা ২০১৯
ঠক! ঠক! ঠক!
কে?
তোকে বড় ভাইরা ডাকছে,
বাইরে আয়!
বুয়েটের গেটে টাঙানো ব্যানার/ছবি: জিএম মুজিবুর
দরজায় আঘাত করার শব্দ ঠক! ঠক! ঠক! একই থাকলেও স্বাধীনতা থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পাল্টে গেছে পরিস্থিতি। এই শব্দগুলোর মাধ্যমে আগে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে সমস্যা নিয়ে যেত। শিক্ষকরা তাদের কথা শুনে সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করতেন।

বর্তমানে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কাউকে নির্যাতনের জন্য পরিকল্পনা করলে এ শব্দগুলো ব্যবহার করে দরজায় করাঘাত করে। তারপর রুমে নিয়ে করা হয় নির্যাতন। সবশেষ শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে ২০১১ ও ২০০৫ নম্বর কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

অপরদিকে বুয়েট এলাকায় ফাহাদ হত্যার বিচার চেয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়। বুয়েট গেটে সরি মা, জাস্টিস ফর আবরার ফাহাদ, ওভারব্রিজে লাগানো হয় 'নরপিশাচ আবরার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। আরেক সাইনবোর্ডে লেখা হয়েছে বাবা আবরার ফাহাদ, তোমার জন্য সারা বিশ্ব কাঁদছে। তুমি চলে এসো আমাদের বুকে। প্রার্থনায় তোমার পাঁচ বোনেরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
এসকেবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।