তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রাধক্ষ্যের সঙ্গে সৃষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ায় সমাবর্তনে অংশ নিতে পারেননি জাকির। শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
জাকির হোসেন বলেন, আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলাম। অধ্যয়নকালে তিনি একটি গণমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। সমাবর্তনে অংশ গ্রহণের জন্য মুঠোফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণের ক্ষুদেবার্তাও পেয়েছিলেন। ঢাকার একটি গণমাধ্যমে কর্মরত জাকির সমাবর্তনে অংশ নিতে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিকেলে নিজ বিভাগে গাউন ও সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখি সেখানে আমার নাম নেই। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গিয়েও কেন সমাবর্তনে অংশ নিতে পারছি না সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানতে পারিনি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক উপ-উপাচার্যের ফোনালাপ ফাঁস, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করেছি। এ কারণে আমাকে সমাবর্তনে অংশ নিতে দেয়নি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী বলেন, জাকিরকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। কিন্তু জাকির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেননি।
তিনি আরও বলেন, গত প্রশাসনের সময় এক হল প্রাধ্যক্ষ জাকিরের নামে জিডি করেছিলেন। জিডির পর ওই সময়ে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিষয়টি জাকির নিজেও জানেন। তাই তার সমাবর্তনে অংশ না নেওয়ার বিষয়টিও জাকিরই ভালো বলতে পারবেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল ইসলাম বলেন, ‘গত প্রশাসনের সময় জাকির হোসেনের সঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষের একটা ঝামেলা হয়েছিল। সেই সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য তাকে আগেই অবগত করা হয়েছে। সেই সমস্যা সমাধান হয়নি বলে হয়ত তিনি সমাবর্তন অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না।
জাকির হোসেন বলেন, সমাবর্তনে কেন অংশ নিতে পারব না সে বিষয়ে আগে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তখন কীভাবে হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রভিশনাল সার্টিফিকেট তুললাম আমি। আসলে রাবি প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন করায় আমাকে সমাবর্তনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৩ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
এসই/এসআইএস