রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মিডি চত্বরে সচেতন শিক্ষকদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তিপরীক্ষা নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন, যথাযথ তদন্তপূর্বক জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ড. তুহিন ওয়াদুদ তার বক্তব্যে বলেন, দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে এই ক্যাম্পাস। উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ যদি এসব দুর্নীতি বন্ধ না করেন তাহলে কঠোর আন্দোলনে ডাক দেবো। তিনি এতো ক্ষমতাশীল হননি যে, যা খুশি তাই করবেন আর আমরা চুপ থাকবো। ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত করে অতিসত্তর জালিয়াতি চক্রকে ধরতে হবে।
আসাদ মণ্ডল তার বক্তব্যে বলেন, এই ‘বি’ ইউনিটের প্রশ্ন প্রণয়নসহ সব ধরনের প্রক্রিয়া খুব গোপনে করা হয়েছিল। যা নিয়মের বাইরে। কারা কারা ভর্তি পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট থাকবেন তা আগে থেকেই প্রকাশ করার নিয়ম থাকলে এবার কেন এতো গোপনীয়তা? তাই এসবের কেন্দ্রীয় তদন্ত অতি জরুরি।
উপাচার্যকে স্বৈরাচার আখ্যা দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, আমি এরশাদকে দেখিনি, তবে এমন একজন স্বৈরাচারকে দেখেছি। তিনি কিনা ঢাকায় লিয়াজো কার্যালয়ের নামে ক্যাসিনোবাণিজ্য শুরু করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত কন্ঠকে জিম্মি করে নিজের স্বার্থ হাসিল করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের সেক্রেটারি আসাদ মণ্ডলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি গাজী মাঝহারুল আনোয়ার, সেক্রেটারি খায়রুল কবীর সুমন, সাবেক সভাপতি তুহিন ওয়াদুদ, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান, নীল দলের সভাপতি নিতাই কুমার, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশ চন্দ্র রায়, সেক্রেটারি মশিউর রহমান, সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান তাসনীম হুমায়দা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
এএটি