রোববার (০৮ ডিসেম্বর) ডাকসু ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ আহ্বান জানান ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত সদস্যরা। যদিও জিএস রাব্বানী আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সদস্য রাকিবুল হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে রাব্বানী বলেন, আমরা ডাকসু পরিবার নূরের এই অপকর্মের দায়ভার নিতে রাজি নই। আমাদের আহ্বান থাকবে, নুর যেন তার ডাকসুর ভিপির পদ থেকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করেন। তিনি যদি পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা ডাকসুর সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং ডাকসুর সভাপতির প্রতি আহ্বান জানাবো তিনি যেন নৈতিক স্খলনের দায়ে নুরকে বহিষ্কারের ব্যবস্থা করেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্প্রতি দুটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার মাধ্যমে নুরের স্বরূপ সবার সামনে উন্মোচিত হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার অভিনয় করতে করতে নুর যে টেন্ডারবাজি, তদবির বাণিজ্য, অনৈতিক লেনদেন ইত্যাদিতেও দক্ষতা অর্জন করেছেন, তা ছাত্রসমাজের সামনে পরিষ্কার হয়েছে।
এবিষয়ে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে যে, ডাকসুর ভিপি বিন্দুমাত্র অনৈতিক লেনদেন করেছে, অবৈধ লেনদেন করেছে, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হয়েছে; তাদের প্রশ্ন তোলার আগেই প্রমাণটা গণমাধ্যমে উপস্থাপন করলেই ডাকসুর ভিপি পদত্যাগ করবে। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমি পদত্যাগ করবো। কিন্তু ছাত্রলীগের কথায় ডাকসুর ভিপি পদত্যাগ করবে না কিংবা ছাত্রলীগের কথায় কর্ণপাত করবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
এসকেবি/জেডএস