এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে এ বিক্ষোভ।
এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, প্রবেশপত্র ও সনদ বিতরণের সময় টাকা নেওয়া, নিয়োগে দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি জানায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
এর আগে গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ-মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে শিক্ষার্থীরা। সে সময় বিষয়টি 'দেখার' আশ্বাস দেন প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় সোমবার বিকেলে ফের আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে কুতুবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নিয়ে আলোচনায় বসেন শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামানসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। এসময় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিলে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে বর্তমান শিক্ষার্থী, সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বিক্ষোভ শুরু করে। পরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ও দু’টি গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।
ঘটনাস্থলে থাকা হায়দার আলী নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক জানান, হঠাৎ করেই শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তারা ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলিবর্ষণ করে।
পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে শিবচর থানার একটি সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৯
আরএ