বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ।
লিখিত বক্তব্যে গোলাম কুদ্দুছ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ পালনের প্রাক্কালে এবারের বিজয় উৎসবের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘বিজয়ের অঙ্গীকার সাংস্কৃতিক অধিকার’। ৫২ থেকে ৭১ দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যদিয়ে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীন রাষ্ট্র ভাবনার কথা তুলে ধরেছিলাম। ত্রিশ লাখ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তারই প্রতিফলন ঘটেছিল। সাংস্কৃতিক অধিকার হচ্ছে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের পথ ধরে জীবনযাপন করতে পারা। আজ আমরা তা কতটুকু পারছি মূল্যায়নের সময়, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য কতদূর পৌঁছেছে তা মূল্যায়নের সময়। এবারের বিজয় উৎসবের স্লোগান শুধুমাত্র উৎসব সজ্জার বিষয় নয়- আমাদের নব আন্দোলনের সূচনা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৩ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেলুন উড়িয়ে জোটের বিজয় উৎসবের উদ্বোধন করবেন ভাষা সংগ্রামী জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। ১৪ থেকে ১৬ ডিসেম্বর শহীদ মিনারসহ ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ, মিরপুর ও দনিয়ায় প্রতিদিন এই বিজয় উৎসবের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হবে। বিজয় উৎসবের বিভিন্ন আয়োজনে সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, পথনাটক, শিশু পরিবেশনা প্রভৃতির সমন্বয় থাকবে। এসবে অংশ নেবেন প্রায় আড়াই হাজারের মতো সংস্কৃতিকর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- জোটের সহ-সভাপতি ফকির আলমগীর, বিজয় উৎসব উদযাপন পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক ঝুনা চৌধুরী, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কর্মসূচির আহ্বায়ক মানজারুল ইসলাম চৌধুরী সুইট, অর্থ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব শেখ শাফায়তুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক ফয়জুল আলম পাপ্পু, ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক মাসুদুজ্জামান, প্রচার বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব হানিফ খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এসকেবি/এইচএডি/