ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫১ অর্জন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৫১ অর্জন

ঢাকা: চলতি বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি, শিক্ষা আইন চূড়ান্ত, মাদ্রাসা শিক্ষা আইন পাসসহ বেশ কয়েকটি ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বছর শেষে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগসহ অধীন দপ্তর-সংস্থার অর্জন তুলে ধরে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি পাঠিয়েছে।
 
১) সবচেয়ে বড় অর্জন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি।

বিগত প্রায় ১০ বছর বন্ধ থাকার পর এবছর একসঙ্গে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে ২ হাজার ৭৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

২) চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে পরিমার্জনের কাজ শুরু করা হয়েছে।

৩) পাবলিক ও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক নিয়োগে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

৪) ২০২০ সাল থেকে ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ৬৪০ স্কুলে কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা এবং ২০২১ সাল থেকে মাধ্যমিকের সব ক্লাসে কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

৫) প্রশ্নফাঁস ও গুজব প্রতিরোধ করা এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

৬) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে ১৩ হাজার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার নতুন ভবনের কাজ ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে।
৭) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে ২ হাজার ৪৯৪ জন নতুন জনবল অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
 
৮) শিক্ষার মান উন্নয়নে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে।

৯) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস করা হয়েছে।

১০) হবিগঞ্জ ও চাঁদপুরে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

১১) মাদ্রাসা বোর্ড আইন-২০১৯ পাস করা হয়েছে।

১২) ১০ বছর ধরে ঝুলে থাকা শিক্ষা আইন চূড়ান্ত করা হয়েছে।

১৩) খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

১৪) কোচিং বাণিজ্য বন্ধে কার্যকর বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

১৫) জিপিএ গ্রেডিং সিস্টেমে সমন্বয় করা। সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জিপিএ-৫’র পরিবর্তে জিপিএ-৪ প্রবর্তণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
 
১৬) একাদশ শ্রেণির ৩০ লাখ পাঠ্যপুস্তক যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো হয়েছে।

১৭) হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নির্যাতন রোধে কমিটি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

১৮) র‌্যাগিং প্রতিরোধে অ্যান্টি বুলিং বিধিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

১৯) বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কর্নার’ চালু করা হয়েছে।

২০) ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে একটি সফল পাইলটিং প্রজেক্ট সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০২০ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে তিনটি বিষয়ে (শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, চারু ও কারু, কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা) ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি কার্যকর করা হবে। অন্যান্য বিষয়ে শতকরা ২০ ভাগ নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে দেওয়া হবে। এ উদ্দেশ্যে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে দুইটি ডায়েরি সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে।

২১) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ২য় গ্রেডের ৩টি পদ সৃজন এবং ৩য় গ্রেডে ৯৮টি পদ আপগ্রেড করা হয়েছে। এছাড়াও ২য় ও ৩য় গ্রেডের আরও ৩৩৫ পদ সৃজন, আপগ্রেডের কাজ চলমান রয়েছে। অভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ১২ হাজার ৫০০টি পদ সৃজনের কার্যক্রমের কাজ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
 
২২) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগের জটিলতার আংশিক অবসান ঘটিয়ে ৭০২ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

২৩) সব সরকারি কলেজকে ই-ফাইলিংয়ের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

২৪) সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং করার জন্যে মাঠ পর্যায়ের মনিটরিং ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এই মনিটরিংয়ের ফলে অতি দ্রুত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃংঙ্খলা ফিরে আসবে।

২৫) সারাদেশের মাধ্যমিক স্কুলে আকস্মিক পরিদর্শন চালু করা হয়েছে এতে বিনা অনুমতিতে শিক্ষকদের কর্মস্থলে অনুপস্থিতির হার প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
 
২৬) সারাদেশে ২০ হাজার স্কুলে পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে।

২৭) উচ্চশিক্ষা অঙ্গনে অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।

২৮) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের বিরাজমান সমস্যা সমাধান করা হয়েছে।

২৯) কলেজগুলোর চাহিদা পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

৩০) স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার বেতনকাঠামো কারার জন্য নীতিমালা চূড়ান্ত করা।

৩১) স্কুল ও কলেজ শিক্ষক আত্মীকরণ বিধিমালা প্রণয়ন।

৩২) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা।

৩৩) বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য অটিজম অ্যাকাডেমি স্থাপনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন হয়েছে।

৩৪) বেসরকারি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজীকরণ করা হয়েছে।

৩৫) দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি এবং পাঠদানের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

৩৬) কওমি মাদ্রাসার পাঠ্যসূচিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

৩৭) শিক্ষার্থীদের আমিষের ঘাটতি মেটাতে পরিপত্র জারি করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৬০০০ স্কুলে মিড-ডে মিল চালু করা হয়েছে। ২০২০ সালে পর্যায়ক্রমে সব স্কুলে মিড-ডে মিল চালু করা হবে।

৩৮) বন্ধ থাকা শিক্ষা বৃত্তিগুলো চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

৩৯) মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
 
৪০) প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য মনিটরিং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক স্কুলে ওজন ও উচ্চতা মাপার যন্ত্র কেনা হবে।

৪১) রিপ্রোডাকটিভ হেলথ ও জেন্ডার ইকুইটি বিষয়ে সব স্কুলে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

৪২) পারিবারিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব স্কুলে কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

৪৩) মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বয়স বিবেচনা করে পুষ্টিকর খাদ্য তালিকা সব অভিভাবকদের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

৪৪) কো-এডুকেশন চালু আছে যেসব স্কুলে, সেসব স্কুলে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য আলাদা ওয়াশ ব্লক তৈরি করা হয়েছে।

৪৫) শিক্ষার্থীরা যেন বিদ্যালয়ে খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করার সুযোগ এবং প্রণোদনা পায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
 
৪৬) ২০১৯ সালে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানো’ শীর্ষক একটি প্রজেক্ট ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। প্রজেক্টের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক প্রায় লাখ খানেক রিপোর্ট ও ডকুমেন্টারি তৈরি করেছে।
 
৪৭) প্রজেক্টের মাধ্যমে ২০২০ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের ৭টি সফট স্কিলে দক্ষ করে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সফট স্কিলগুলো হলো-

সৃজনশীলতা, নৈতিকতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা, কর্মক্ষমতা, উপযোগীকরণ ও  স্বাস্থ্য। এগুলো ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে।  
৪৮) প্রতি বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের দিয়ে শিক্ষাঙ্গন পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

৪৯) শতবর্ষী ১৩টি কলেজকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

৫০) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়াল ঘেঁষে সিগারেটের দোকান না রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

৫১) নীতি শিক্ষার অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে ‘সততা স্টোর’ চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব স্কুল-কলেজে ‘সততা স্টোর’ চালু করা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
এমআইএইচ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।