মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) হাবিবা বাছিত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুই সূচকেই এগিয়েছে সিলেট।
২০১৯ সালে মোট এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৫৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৯৯ জন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছেলে ৬৫ হাজার ৭৭৩ এবং মেয়ে ৮৭ হাজার ৮২৬ জন। এদের মধ্যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এক লাখ ৪২ হাজার ৫৩২ জন শিক্ষার্থী। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছেলে ৬০ হাজার ৫৩৪ এবং মেয়ে ৮১ হাজার ৯৯৮ জন।
তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন হাজার ৭৭৩। এদেরমধ্যে ছেলে এক হাজার ৫৩৭ এবং মেয়ে দুই হাজার ২৩৪ জন।
বোর্ডের অধীনে সিলেট জেলায় ৫৫ হাজার ৮৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করে ৫১ হাজার ৫১৩ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছেলে ২২ হাজার ৫২ এবং মেয়ে ২৯ হাজার ৪৬১ জন। এদের মধ্যে এক হাজার ৭৫২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এরমধ্যে ছেলে ৭৪০ এবং মেয়ে এক হাজার ১২ জন।
বোর্ডের অধীনে হবিগঞ্জ জেলায় ৩২ হাজার ৩৭৩ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করে ৩০ হাজার ৩২ জন। এরমধ্যে ছেলে ১২ হাজার ৬০৪ এবং মেয়ে ১৭ হাজার ৪২৮ জন। এই জেলায় ৬৯৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এদের মধ্যে ছেলে ২৭৮ ও মেয়ে ৪১৭ জন।
মৌলভীবাজারে ৩৩ হাজার ৩৮৫ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩০ হাজার ৮৮৭ জন। এদের মধ্যে ছেলে ১২ হাজার ৭৯৬ এবং মেয়ে ১৮ হাজার ৯১ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯২২ জন। এরমধ্যে ছেলে ৩৭৮ এবং মেয়ে ৫৪৪ জন।
সুনামগঞ্জে ৩২ হাজার ৭৫৩ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৩০ হাজার ১০০ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছেলে ১৩ হাজার ৮২ এবং মেয়ে ১৮ হাজার ১৮ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০৪ জন। এরমধ্যে ছেলে ১৪২ এবং মেয়ে ২৬২ জন।
২০১৮ সালে জেএসসিতে সিলেট বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৯ দশমিক ৮২ শতাংশ। এর আগের বছর ছিল (২০১৭ সাল) ৮৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে হার কমেছিল ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
তবে এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে সাফল্য ঊর্ধ্বমুখী বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন>>>জেএসসি-পিইসি পরীক্ষার ফল জানা যাবে যেভাবে
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
এনইউ/এসএ