ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

শাবিপ্রবির তৃতীয় সমাবর্তন বুধবার

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২০
শাবিপ্রবির তৃতীয় সমাবর্তন বুধবার

শাবিপ্রবি (সিলেট): দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বুধবার (৮ জানুয়ারি)। এক যুগের প্রতীক্ষার অবসান ঘটছে বুধবারের সমাবর্তনের মাধ্যমে।

বুধবারের সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপতি ও গ্র্যাজুয়েটদের বরণ করে নিতে বর্ণিল সাজে সেজেছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দৃষ্টিনন্দন জায়গাগুলো। পুরো ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে রং-বেরঙের আলোকসজ্জায়। মূল ফটক, এককিলো, গোলচত্বর, বঙ্গবন্ধু চত্বর, চেতনা একাত্তর, বিভিন্ন একাডেমিক ভবনগুলো।

সমাবর্তনকে ঘিরে গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণায় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দিনভর মুখরিত ছিল শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলো। গ্র্যাজুয়েটরা পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে সিনিয়র-জুনিয়র ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডা, গল্প ও পুরোনো স্মৃতিচারণে মেতে ছিলেন। খাবারের দোকানগুলোতেও ছিল সমাবর্তনের আমেজ।

সমাবর্তনে রেজিস্ট্রেশন করা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০০১-০২ সেশনের শিক্ষার্থী জাবেদ খান জয় বলেন, দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে এসে বন্ধু-বান্ধব ও সিনিয়র-জুনিয়রদের সঙ্গে দেখা হয়ে অনেক ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে আবারও ক্যাম্পাস জীবন ফিরে পেয়েছি।

সমাবর্তন প্রত্যাশী আরেক শিক্ষার্থী তানভীরুল ইসলাম বলেন, অনেক বছর পরে সমাবর্তন হলেও এটি আমাদের জন্য অনেক আবেগ ও আনন্দের বিষয়। এটি জীবনের স্মৃতির পাতায় আরেকটি গল্পের সূচনা করবে।

এবারের সমাবর্তনে মোট ছয় হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এদের মধ্যে স্নাতকে চার হাজার ৬১৭ জন, স্নাতকোত্তরে এক হাজার ১২৭, পিএইচডি দু’জন, এমবিবিএস ৮৭৮, এমএস ও এমডি ডিগ্রিধারী ছয়জন এবং নার্সিংয়ের ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী ১২ শিক্ষার্থী ও স্নাতকোত্তরে আট শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক দেওয়া হবে। অন্যদিকে অনুষদে প্রথম হওয়া মোট ৮৯ জন শিক্ষার্থীকে উপাচার্য অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।

সার্বিক বিষয়ে সমাবর্তন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর পর সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমাদের প্রস্তুতিও প্রায় শেষ হয়েছে। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি রাষ্ট্রপতি ও গ্র্যাজুয়েটদের বরণ করে নিতে। সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে আমাদের যা যা পরিকল্পনা ছিল তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পুরো ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আশাকরি, সমাবর্তনে কোনোরকম ঘাটতি থাকবে না এবং শিক্ষার্থীদের সুন্দর একটি সমাবর্তন উপহার দিতে পারবো। সমাবর্তন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
ডিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।