ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এসএসসিতে পরীক্ষার্থী কমেছে সাড়ে ৮৭ হাজার 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এসএসসিতে পরীক্ষার্থী কমেছে সাড়ে ৮৭ হাজার 

ঢাকা: চলতি বছরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নয়টি বোর্ডে গত বছরের চেয়ে পরীক্ষার্থী কমেছে ৮৭ হাজার ৫৪৪ জন। এবছর মোট ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক স্তরের এ পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেবে।
 

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য জানান।
 
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী সাহাবুদ্দীন আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


 
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি, ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দাখিল এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
 
আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৬ লাখ ৩৫ হাজার ২৪০ জন, দাখিলে দুই লাখ ৮১ হাজার ২৫৪ জন এবং এসএসসি ভোকেশনালে অংশ নেবে এক লাখ ৩১ হাজার ২৮৫ শিক্ষার্থী। এবছর নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৮৮ জন এবং অনিয়মিত পরীক্ষার্থী তিন লাখ ৬১ হাজার ৩২৫ জন। বিশেষ পরীক্ষার্থী (১-৪ বিষয়ে) দুই লাখ ৮২ হাজার ৫৯৮ জন।  
 
এবার মোট ২৮ হাজার ৮৮৪ টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের তিন হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২০২টি প্রতিষ্ঠান ও ১৫টি কেন্দ্র বেড়েছে।
 
২০১৯ সালে এসএসসিতে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন। এ হিসাবে এবার মোট পরীক্ষার্থী কমেছে ৮৭ হাজার ৫৫৪ জন।
 
পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ নিয়ে এক প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা ২০১৭ সালে জেএসসি পাস করেছে তারাই এবার এসএসসি দিচ্ছে। তার সঙ্গে গতবছর বা আগের বছর যারা এক’দু বিষয় খারাপ করেছে তারাও যুক্ত হচ্ছে।  

‘২০১৭ সালে পাসের হার ও সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় কম ছিল। এছাড়াও টেস্ট পরীক্ষাতেও অ্যালাও হওয়ারও ব্যাপার আছে। এজন্য সংখ্যায় খুব বেশি তফাৎ নেই। ’
 
চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয়পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।  

তিনি জানান, নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করে প্রাপ্ত নম্বর কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। ব্যবহারিক নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নের নম্বর কেন্দ্র যোগ করে অনলাইনে বোর্ডে পাঠাবে।  
 
এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেউ দেরি করলে তার নাম, রোল, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ লিপিবদ্ধ করে বোর্ডে পাঠাতে হবে।
 
আর পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএস করে সংশ্লিষ্টদের প্রশ্ন সেট জানিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল নিতে পারবেন না এবং কেন্দ্র সচিবের মোবাইল ফোনটি স্মার্টফোন হবে না।
 
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তারা শ্রতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তারা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে।
 
আর ৩০ মিনিটসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তা নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধীরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এমআইএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।